॥ বান্দরবান প্রতিনিধি ॥
বান্দরবানে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে এবার যুবলীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার রাজবিলা ইউনিয়নের বাঘমারা মং ক্যচিং পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুবলীগ নেতার নাম মং চ উ (৩৫) সে যুবলীগের জামছড়ি ইউনিয়নের শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক। স্থানীয় বাসিন্দা মং হ্লা চিং মার্মার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার রাজবিলা ইউনিয়নের বাঘমারা মং ক্যচিং পাড়ায় একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী মংচউ কে বাসায় ঢুকে গুলি করে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়।
খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনা সদস্যরা ওই এলাকায় যায় এবং নিহত মং চউর লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠায়। ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
স্থানীয়রা জানায় মং চউ আগে পাহাড়ের আঞ্চালিক দল জেএসএস পার্টি করত সম্প্রতি সে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হয়ে ওই এলাকার যুবলীগের ইউনিয়ন শাখার সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পান। কে বা কারা এ হত্যা কান্ড ঘটিয়েছে সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। তবে ধারনা করা হচ্ছে দল ছেড়ে আসায় জেএসএস সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যা করেছে।
বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, সদর উপজেলার বাঘমারা এলাকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে যুবলীগের এক নেতা নিহত হয়েছে। কে বা কারা এ হত্যা কান্ড ঘটিয়েছে সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।
]এদিকে প্রতিবাদে বুধবার সকালে জেলা যুবলীগ উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভায় অনুষ্টিত হয়েছে। জেলা যুবলীগ আহবায়ক কেলু মং মারমার সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি আবদুর রহিম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইসলাম বেবী, জেলা পরিষদ সদস্য লক্ষী পদ দাশ, ক্যা সা প্রু, মোজাম্মেল হক বাহাদুর, জেলা সেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি সাদেক হোসেন চৌধুরী, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি পাইহ্লা অং, জেলা শ্রমিক লীগ সাধারন সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কাউছার সোহাগ।
সভায় বক্তব্যরা বলেন,বান্দরবান কোন বিচ্ছিন্ন অঞ্চল নয়। কেন একের পর এক হত্যাকান্ড হচ্ছে এবং সন্ত্রাসীরা ধরাছোয়ার বাইরে থাকছে প্রশ্ন তোলেছেন বান্দরবান জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ।এই কথা বলেন আওয়ামীলীগ নেতারা। বান্দরবান মুক্তমঞ্চ এলাকায় ওই সমাবেশে বক্তারা বলেন, বাঘমারা এলাকার মানুষ চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। বিনা কারনে একের পর এক হত্যাকান্ড চালাচ্ছে সন্তু লারমার সন্ত্রাসীরা। সন্তু লারমা চোর, তিনি সন্ত্রাসী তাই পাহাড়ে লুকিয়ে লুকিয়ে এই ঘটনা ঘটনাচ্ছে।
আইনশৃংখলা বাহিনী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হলে আওয়ামীগ বৈঠকের মাধ্যমে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিবে।
এর আগে জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে মুক্তমঞ্চ এলাকায় সমাবেশে মিলিত হয়।
উল্লেখ্য, গত ৭ জুলাই সদর উপজেলার বাঘমারা বাজার এলাকায় জেএসএস (এমএন লারমা) গ্রুপের ৬ সদস্যকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় জেএসএস সন্তু লারমা গ্রুপকে দায়ী করে মামলা হত্যা মামলা দায়ের করে এমএন লারমা গ্রুপের সাধারন সম্পাদক উবামং মারমা।