স্টাফ রিপোর্টার- ২২ অক্টোবর ২০১৬, দৈনিক রাঙামাটি (প্রেস বিজ্ঞপ্তি): পাহাড়ে ভূমি, ভোট ও ভাতের অধিকার রক্ষার জন্য প্রতিটি বাঙালি পরিবারকে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে এবং রাষ্ট্রদ্রোহী পাহাড়ী সন্ত্রাসী তথা জেএসএস ও ইউপিডিএফ নেতাদের যে কোন ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় ৭১ এর রনাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধাদের মতো নিয়মতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী অনুশীলনের মাধ্যমে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে। আজ ২২ অক্টোবর, ২০১৬ শনিবার বেলা ১০টায় ঢাকাস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত জরুরী এক যৌথ সভায় সভাপতির পার্বত্য চট্টগ্রাম সমঅধিকার আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মনির এ আহ্বান জানান। তিনি বলেন- “ভূমি অধিকার রক্ষার জন্য পাহাড়ের বাঙালিদেরকে সদাজাগ্রত থাকতে হবে”। আগামী ২৪ অক্টোবরের মধ্যে সরকার পার্বত্য বাঙালিদেরকে শান্তি আলোচনায় আমন্ত্রণ না জানালে ২৫ ও ২৬ অক্টোবর বিক্ষোভ এবং ৩০-৩১ অক্টোবর তিন পার্বত্য জেলায় সর্বাত্মক হরতাল পালন করা হবে।
সভায় রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলার প্রতিনিধি ছাড়াও ঢাকায় অবস্থানরত মূল সংগঠন ও অঙ্গ সংগঠনের (সমঅধিকার ছাত্র আন্দোলন, সমঅধিকার নারী আন্দোলন, সমঅধিকার যুব আন্দোলন, সমঅধিকার শ্রমিক আন্দোলন) নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। যৌথ সভায় সমঅধিকার আন্দোলনের ৯ দফা দাবী নামার আলোকে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন (সংশোধনী আইন ২০১৬ বাতিল করে ৩ পার্বত্য জেলার তিনজন বাঙালি প্রতিনিধিকে অবিলম্বে কমিশনের সদস্য হিসেবে নিয়োগ দানের দাবী জানানো হয়। আলোচনায় অংশ নেন কেন্দ্রীয় নেতা এম জাহাঙ্গীর কামাল, হাজী মোঃ ইউনুছ কমিশনার, মোঃ হাফেজ, এম আনোয়ার আলী, কাজী সফিকুর, কে এম ওবায়েদ, এ কুদ্দুছ, প্রকৌশলী ফেরদৌস মানিক, জোৎ¯œা বেগম, রাবেয়া চৌধুরী, মিসেস রোজিনা প্রমুখ। সভায় মোবাইল ফোনের মাধ্যমেও তিন পার্বত্য জেলার উদ্বিগ্ন বাঙালি ছাত্র জনতা ভূমি কমিশনের তৎপরতায় নিজেদের অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরেন। ব্যাপক আলোচনার পর আগামী ২৫, ২৬ অক্টোবর তিন পার্বত্য জেলায় ২ দিন ব্যাপী সভা সমাবেশ, বিক্ষোভ, পিকেটিং এবং সরকারের আচরন নমনীয় এবং বাঙালিদের প্রতি সহানুভূতিশীল সিদ্ধান্ত ঘোষনা না করলে ৩০-৩১ অক্টোবর রবি ও সোম দুই দিন সর্বাত্মক হরতাল পালনের জন্য রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলাবাসীর প্রতি আবেদন জানানো হয়।
বান্দরবান জেলা কমিটি প্রসঙ্গে সভায় বলা হয় বান্দরবান জেলার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সেলিম চৌধুরী ইন্তেকাল করার পর কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ জেলার সিনিয়র রাজনীতিবিদ, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন জনের সাথে মত বিনিময় চালিয়ে যাচ্ছেন। জনৈক মোস্তফা নামে এক ব্যক্তি নিজেকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বলে বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে বক্তব্য দেয়ার জন্য সভায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয় এবং উক্ত মোস্তফাকে কোনরূপ আশ্রয় প্রশ্রয় না দেওয়ার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।
পোস্ট করেন- শামীমুল আহসান, ঢাকা ব্যুরো প্রধান