মহান বিজয় দিবস ঘিরে রাঙামাটিতে জাতীয় পতাকা বিক্রির হিড়িক

626

॥ মঈন উদ্দীন বাপ্পী ॥

মহান বিজয় দিবস ঘিরে রাঙামাটিতে পতাকা বিক্রির হিড়িক পড়েছে। বুধবার সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, দর্জী দোকানদাররা জাতীয় পতাকা তৈীরতে মহাব্যস্ত সময় পার করছে। পতাকা বিক্রিতে যার কাছ থেকে যা পাচ্ছে তা আদায় করে নিচ্ছে। নিধর্িারিত মল্যে বলে কিছু নেই।

দর্জী কাজল দত্ত জানান, ২১ই ফেব্রুয়ারী, স্বাধীনতা দিবস মহান বিজয় আসলে আমরা কাপড় সেলাই বাদ দিয়ে শুধু পতাকা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করি। কেননা এ দিবসে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, স্কুল-কলেজ, ব্যবসায়ীরা তাদের স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানে নতুন পতাকা উত্তোলনের জন্য পতাকা তৈরির অর্ডার দেয়।

পতাকা বিক্রি মূল্যর ব্যাপারে তিনি জানান, দেশের পতাকা বিক্রিতে নির্ধারিত মূল্য দিয়ে হয় না যার কাছ যা মূল্য পাই তা নিয়। তিনি জানান, প্রতিদিন ১৫-২০টি পতাকা তৈরি করা হয় এবং তিন-চার হাজার টাকা আয় করি। মাদারীপুর থেকে রাঙামাটিতে পতাকা বিক্রি করতে আসা আব্দুল আলিম জানান, একুশে ফেব্রুয়ারী,স্বাধীনতা দিবস এবং বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে কয়েক বছর ধরে জাতীয় পতাকা, জাতীয় পতাকা খচিত মাথার বেন্ড,হ্যান্ড পতাকা বিক্রি করে আসছি।

পতাকা মূল্যর ব্যাপারে তিনি জানান, ৬ফিটের পতাকাগুলো ১০০-১১০,৫ফিটের পতাকা ৭০-৮০,সাড়ে তিন ফিটের পতাকা ৭০-৬০, আড়াই ফিটের ৬০-৫০, মাথার বেল্ড ১০ এবং হাত পতাকা ১০টাকা করে বিক্রি করছি।
তিনি জানান, সারা বছর কাপড় বিক্রি করলেও মহান এদিনগুলো আসলে জাতীয় পতাকা বিক্রি করি।

পতাকাগুলো কোথায় থেকে এনেছেন এমন প্রশ্নে তিনি জানান, ঢাকার গাজীপুর থেকে পতাকাগুলো কিনে রাঙামাটির বিভিন্ন জাযগায় বিক্রি করছি। তিনি বলেন, প্রতিদিন দুই-আড়াই হাজার টাকার পতাকা বিক্রি করি।

এদিকে পতাক কিনতে আসা টিটু বিশ্বাস জানান, আমার বাচ্চার জন্য পতাকা কিনছি। তিনি বলেন, আগামী প্রজন্মকে যদি দেশের পতাকা চিনাতে না পারি,দেশের প্রতি দায়িত্ব শেখাতে না পারি তাহলে এদেশ থেকে একদিন স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস মুছে যাবে। এজন্য আমার সন্তানের মাঝে দেশ প্রেম জাগ্রত করার জন্য জাতীয় পতাকা কিনে হাতে তুলে দিচ্ছি।