॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥
রাঙামাটি মৎস্যজীবি লীগ, শহর ও সদর উপজেলার উদ্যেগে ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে স্মরণ সভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২২ আগষ্ট) দুপুরে রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের কাযার্লয়ে মৎস্যজীবি লীগের সভাপতি উদয়ন বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনৃুষ্টিত অনুষ্টানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রুহুল আমিন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আলীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মোঃ মুছা মাতব্বর, দপ্তর সম্পাদক মোঃ রফিক আহম্মদ তালুকদার, সদর থানার মৎস্যজীবি লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহনেওয়াজ, ওলামা লীগের সভাপতি কারী ওসমান গণি বক্তব্য রাখেন।
এসময় বক্তারা বলেন, ১৫ আগষ্ট বাঙ্গালী জাতির শোকের দিন। ইতিহাসের কলঙ্কিত কালো দিন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট রাতে সংঘটিত হয়েছিলো এই কলঙ্কিত অধ্যায়। এই দিনে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানরসহ স্বপরিবারে হত্যা করেছিলো ক্ষমতালোভী নরপিশাচ কুচক্রী মহল।
এর পরও ঘাতক কুচক্রীরা থেমে থাকেনি। ২০০৪ সালের ২১ আগষ্ট পরিকল্পিতভাবে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের জনসভা চলাকালীন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগকে নেতৃত্বহীন করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে রুখে দিতে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলা চালায়। কিন্তু আল্লাহর রহমত ও বাংলাদেশের জনগণ তা হতে দেয়নি। তিনি এখনো মানুষের কল্যাণে দেশের অগ্রযাত্রাকে প্রসারিত করতে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।
আর প্রতি বছর দিনটি আসে বাঙালীর হৃদয়ে আর কষ্টের দীর্ঘশ্বাস হয়ে। পুরো জাতি গভীর শোক ও শ্রদ্ধার শ্রেষ্ঠ সন্তানকে স্মরণ করে। তাই আজকে আমাদের জোর দাবী যাতে এই মাসেই বঙ্গবন্ধুসহ তার স্বপরিবারের খুনীদের আইনের আওতায় এনে তাদের ফাঁসি কার্যকর করা হোক।
পরে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে ২১ শে আগষ্টে গ্রেনেড হামলায় শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয় এবং যারা আহত হয়ে মানবতার জীবন যাপন করছেন, তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও সমবেদনা জানান নেতৃবৃন্দরা।