রাঙামাটিতে এলজিএসপি প্রকল্পের অগ্রগতি ও অর্জন বিষয়ে কর্মশালা

180

স্টাফ রিপোর্টার

লোকাল গভর্ন্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্ট-৩ (এলজিএসপি-৩) এর অগ্রগতি, ইউনিয়ন পর্যায়ে দক্ষতা বৃদ্ধি এবং গুনগতমান উন্নয়নের অগ্রগতি ও অর্জন অবহিতকরণে রাঙামাটিতে জেলা পর্যায়ের কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার সকালে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ মামুন মিয়ার সভাপতিত্বে এ কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন, রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।

কর্মশালায় জানানো হয় যে, ২০১৭ থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ পর্যন্ত পাঁচ বছর মেয়াদি এ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৭৪৪.২০ কোটি টাকা। এতে বাংলাদেশ সরকারের অর্থ ৩,১৫৩.০০ কোটি টাকা এবং বিশ্বব্যাংকের ঋণ ২,৫৯১.২০ কোটি টাকা। প্রকল্পের থোক বরাদ্দের অর্থ সরাসরি দেশের ৪৫৭১টি ইউনিয়ন রিষদের ব্যাংক হিসাবে প্রেরণ করা হয়ে থাকে। প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো ইউনিয়ন পরিষদে ফর্মুলাভিত্তিক থোক বরাদ্দের অর্থ স্থানান্তর পদ্ধতির প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ এবং ১৬টি পৌরসভায় পাইলট ভিত্তিতে স¤প্রসারিত থোক বরাদ প্রদান। বর্তমান সরকারের নীতি সংস্কারের উদ্যোগের অংশ হিসেবে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারি কার্যক্রম বিকেন্দ্রীকরণ এবং ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতায়নের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের ব্যাংক একাউন্টে সরাসরি অর্থ প্রদানের মাধ্যমে সুশাসন প্রতিষ্ঠা।

এ ছাড়া এই প্রকল্পের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের সার্বিক কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি ও টেকসইকরণে এলজিএসপি-৩ যোগ্য অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছে। স্থানীয় পর্যায়ে শেয়ার এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণে এলজিএসপি-৩-এর সাফল্য আশাব্যঞ্জক।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. বরুন কুমার দত্ত, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার এসএএফ আসাদুজ্জামান, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ, রাঙামাটি সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমা বিনতে আমিন, রাঙামাটি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হক, সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন ইসলামসহ জেলার বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগন, উপজেলা পরিষদ ও ইউপি চেয়ারম্যানবৃন্দ, সংবাদকর্মী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

কর্মশালায় এলজিএসপি প্রকল্পের অগ্রগতি ও অর্জন বিষয়ে আলোচনা করা হয়। তাছাড়া গ্রæপ ওয়ার্কের মাধ্যমে প্রকল্পের আগামী দিনের প্রত্যাশা ও সুপারিশমালা প্রণয়ন করা হয়।