লামায় ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল পেল ১৭ হাজার ৮৫৩ শিশু

612

॥ লামা প্রতিনিধি ॥

বান্দরবানের লামা উপজেলায় ১৭ হাজার ৮৫৩ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে। শনিবার সকাল ৮টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রাঙ্গনে একটি শিশুকে ক্যাপসুল খাওয়ানের মধ্য দিয়ে কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন- উপজেলা নির্বাহী অফিসার খিনওয়ান নু। এ সময় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. উইলিয়াম লূসাই, আবাসিক চিকিৎসক ডা. শফিউর রহমান মজুমদার, ডা. নজরুল ইসলাম, ডা. আবু সুফিয়ান, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন, মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট (ইপিআই) রুপন চৌধুরী ও স্বাস্থ্য পরিদর্শক সমীরন বড়–য়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত পূর্ব নির্ধারিত কেন্দ্রের পাশাপাশি ভ্রাম্যমান শিশুদের জন্য বাস স্টেশন ও নৌঘাটেও এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হয়। এবারে উপজেলার ১৭ হাজার ৮৫৩ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ‘ ক্যাপসুল খাওয়ানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে কর্তৃপক্ষ।

মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট (ইপিআই) রুপন চৌধুরী জানান, একটি পৌরসভাসহ উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন কমিউনিটি ক্লিনিকসহ নির্ধারিত ১৫৬টি স্থানে একযোগে ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। এর মধ্যে গজালিয়া ইউনিয়নের দুর্গমে ১টি ও সরই ইউনিয়নের দুর্গমে ১টি কেন্দ্র স্থাপন করা করা হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ৩জন করে সর্বমোট ৪৬৮জন স্বাস্থ্য কর্মী ও স্বেচ্চাসেবী কাজ করেছেন। ছয় মাস থেকে ১১ মাস বয়সী ২ হাজার ২৪৯ জন শিশুকে একটি করে নীল রংয়ের ক্যাপসুল ও ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী ১৫ হাজার ৬০৪ জন শিশুকে একটি করে লাল রংয়ের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে।

লামা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. উইলিয়াম লুসাই বলেন, ভিটামিন ‘এ’ দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শিশুমৃত্যুর ঝুঁকি কমায়। ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়া থেকে দুর্গম পাহাড়ি এলাকার একটি শিশুও যাতে বাদ না পড়ে, সে ব্যবস্থার পাশাপাশি সার্বক্ষনিক মনিটরিং করেছি। আশা করি কোন শিশু এ ক্যাম্পেইন থেকে বাদ পড়েনি।
০৪ জন শিশুকে একটি করে লাল রংয়ের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে।

লামা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. উইলিয়াম লুসাই বলেন, ভিটামিন ‘এ’ দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শিশুমৃত্যুর ঝুঁকি কমায়। ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়া থেকে দুর্গম পাহাড়ি এলাকার একটি শিশুও যাতে বাদ না পড়ে, সে ব্যবস্থার পাশাপাশি সার্বক্ষনিক মনিটরিং করেছি। আশা করি কোন শিশু এ ক্যাম্পেইন থেকে বাদ পড়েনি।