৩০মার্চ খুলে দেওয়ার লক্ষ্যে রাঙামাটির সকল স্কুল-কলেজ কক্ষ জীবানুমুক্ত করা হচ্ছে

628

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥
রাঙামাটিতে কভিড টিকা গ্রহণের হার সন্তোষজনক। সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ৩০ মার্চ সকল বিদ্যা নিকেতন খোলার প্রস্তুতি হিসেবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক সকল স্কুল-কলেজ এর কক্ষ জীবানুমুক্ত করা হচ্ছে। এদিকে রাঙামাটিতে সর্বশেষ (১৮ মার্চ পর্যন্ত) করোনা পজিটিভ আছেন ১২৯৫জন। সুস্থ হয়েছেন ১২৫৪জন। মোট মৃত্যু ১৬জন (সর্বশেষ মৃত্যু-০৬/১২/২০২০)। তবে রাঙামাটিতে সংক্রমণের হার কিছুটা উর্ধমুখী। রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মাসিক সভায় এ তথ্য জানান জেলার সিভিল সার্জন ও শিক্ষা কর্মকর্তাগণ।

তথ্যমতে ১৭ মার্চ পর্যন্ত কোভিডের টিকা নেওয়ার জন্য ৩৫৮১৯জন রেজিস্ট্রেশন করেছেন এবং ১ম ডোজ ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন ২৬,১৭৫জন। কোভিড রোগীদের জন্য ৫০ শয্যার স্বতন্ত্র কোভিড ইউনিট স্থাপনের কাজ খুব শীঘ্র শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন। রাঙামাটি যেহেতু একটি পর্যটন শহর সেহেতু সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি। মানুষকে সচেতন করার জন্য প্রচারণার পাশাপাশি মোবাইল কোর্টও পরিচালনা করা হবে বলে তথ্য দেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) সকালে পরিষদের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী। সভাপতির বক্তব্যে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী বলেন, বিভিন্ন বিভাগের সেবা কম বেশি হলে খুব বেশি সমস্যা নাই, তবে পর্যাপ্ত খাদ্য উৎপাদন নিশ্চিত করতে না পারলে সমস্যা হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে সরকারের টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা বা এসডিজি বাস্তবায়নে কৃষি বিভাগকে আরও সক্রিয় হতে হবে। খাদ্য উৎপাদনের নতুন পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, বইমুখী সমাজ গড়ে তোলার প্রচারণার জন্য পোস্টার, প্রচারপত্র এবং বিভিন্নমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। অনলাইভিত্তিক সামাজিক অবক্ষয় থেকে রক্ষার জন্যই আমাদেরকে বই এর প্রতি মানুষকে আকৃষ্ট করতে হবে।

সভায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃঞ্চ প্রসাদ মল্লিক বলেন, জেলার খাদ্য ঘাটতি কমানোর লক্ষে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। জেলার কৃষিযোগ্য আবাদী জমির পরিমান অত্যন্ত কম। এক ফসলী জমিকে দোফসলী এবং বিভিন্ন উচ্চ ফলনশীল ধানচাষের মাধ্যমে খাদ্য ঘাটতি কমানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এছাড়া ফলবাগান চাষ বৃদ্ধির মাধ্যমেও বিকল্প আয়ের পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে।

পরিষদের জনসংযোগ কর্মকর্তা অরুনেন্দু ত্রিপুরার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্যবৃন্দ যথাক্রমে সদস্য প্রর্বতক চাকমা, সদস্য বিপুল ত্রিপুরা, সদস্য বাদল চন্দ্র দে, সদস্য প্রিয়নন্দ চাকমা, সদস্য ঝর্ণা খীসা, সদস্য দিপ্তীময় তালুকদার, সদস্য অংসুইছাইন চৌধুরী, সদস্য আসমা বেগম, সদস্য সবির কুমার চাকমা, সদস্য নিউচিং মারমা, সদস্য আব্দুর রহিম, সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া, সিভিল সার্জন ডাঃ বিপাশ খীসা উপস্থিত ছিলেন।

এ ছাড়াও জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ বরুন কুমার দত্ত, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃঞ্চ প্রসাদ মল্লিক, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ সাজ্জাদ হোসেন, সিআইডিপি বিসিক সহকারী মহাব্যবস্থাপক শামছু উদ্দিন মজুমদার, জেলা কার্যালয় বিসিক সহকারী মহাব্যবস্থাপক মোঃ মুনতাসীর মামুন, হর্টিকালচার সেন্টার লংগদু উদ্যানতত্ত্ববিদ মোঃ মহিউদ্দীন, জেলা সমবায় কর্মকর্তা ইউসুফ হাসান চৌধুরী, যুব উন্নয়ন উপপরিচালক মোঃ শাহজাহান, নার্সিং ইনস্ট্রাকটর ইনচার্জ সীমা মন্ডল, বিএডিসি(সেচ) নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ সাহেদ, প্রধান তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা পরেশ চন্দ্র চাকমা, হর্টিকালচার সেন্টার নানিয়ারচরের হর্টিকালচারিস্ট আল মামুন, বিএডিসি (বীজ) উপপরিচালক মোঃ লুৎফর রহমান, ক্ষুদ্র নৃগোষ্টীর কালচারাল কর্মকর্তা শোভিত চাকমা, পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্স এর ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়–য়া, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী বিরল বড়––য়া, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর সহকারী প্রকৌশলী সজল চক্রবর্তী, জেলা পিগ ফার্ম সহকারী পরিচালক ডা: মো: আতিকুর রহমান, উপসহকারী প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মোঃ আবু তাহের, জেলা সহকারী লাইব্রেরিয়ান সুনীলময় চাকমা, স্বাস্থ্য প্রকৌশলের সহকারী প্রকৌশলী মোঃ অলিউর রহমান, হর্টিকালচার সেন্টার বালুখালী-কাপ্তাই উপ-পরিচালক নাসিম হায়দার, আরপিটিআই অধ্যক্ষ ওরায়দুর রহমান, জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল কর্মকর্তা অনুসিনথিয়াা চাকমা, জেলা পরিবার পরিকল্পনা সহকারী পরিচালক ডা: বেবী ত্রিপুরা, জেলা সমাজসেবা উপপরিচালক মো: ওমর ফারুক এবং জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো: জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে রাঙামাটি জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপপরিচালক বেগম শাহাওয়াজকে বদলীজনিত কারণে বিদায় পরিষদের পক্ষ থেকে পরিষদের মনোগ্রাম সম্বলিত ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।