স্টাফ রিপোর্টার, ৭ ডিসেম্বর ২০১৫, দৈনিক রাঙামাটি : বাঘাইছড়িতে অভ্যন্তরীন কোন্দলের জেরে ইউপিডিএফ এর অঙ্গ সংগঠন যুব ফোরামের দুই নেতাকর্মী খুন হয়েছে বলে জানা গেছে। নিহতরা হলো, সাজেক থানা যুব ফোরামের সক্রিয় কর্মী জেনেল কার্বারী ও তুহিন মনি চাকমা। রোববার দিবাগত গভীর রাতে তাদেরকে নিজ দলেরই অপর একটি অংশ ধরে নিয়ে গিয়ে গুলি করে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সূত্রগুলো। এ ব্যপারে বাঘাইছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ জাকির হোসেন ফকির এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমার কাছেও এই ধরনের একটি সংবাদ এসেছে। যতদুর জানা গেছে এটি ইউপিডিএফ এর অভ্যন্তরীন কোন্দলের কারনেই হয়েছে। তিনি বলেন, তবে এ বিষয়ে আমাদের কাছে কেউ কোনো ধরনের অভিযোগ দায়ের করেনি।
সূত্রমতে, প্রশাসনের ক্রমাগত চাপ প্রয়োগের ফলে অনেকটা কোনঠাশা হয়ে পড়েছে ইউপিডিএফ এর দলীয় কর্মকান্ড। এরই জেরে দলের একটি অংশ দল ছেড়ে অন্য দলে যোগ দেওয়ার জন্য যোগাযোগ শুরু করে। ঘটনার প্রেক্ষিতে রোববার বিকেলে জোনেল ও তুহিন মনি মোটর সাইকেলযোগে রূপকারি ইউনিয়নের বঙ্গলতলী এলাকার মধ্যদোকান নামক এলাকায় পৌছুলে তাদের অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে নিয়ে যায় দলেরই অপর একটি গ্রুপ। পরে রাতের বেলায় তাদের দুইজনকে গুলি করে হত্যা করা হয় বলে জানায় সূত্রটি। তথ্যমতে, নিহত জেনেল কার্বারী লংগদু উপজেলাধীন বড় কাট্টলী এলাকার বুদ্ধধন চাকমার ছেলে। আর তুহিন মনি চাকমার বাড়ি বাঘাইহাটের গুচ্ছগ্রাম এলাকায়। তার পিতার নাম জানা যায়নি। সূত্র জানায়, সাজেক এলাকায় ৩০/৩৫ জনের একটি সক্রিয় গ্রুপ তাদের দল ইউপিডিএফ থেকে বের হয়ে নতুনভাবে সৃষ্ট আরেকটি সংস্কারপন্থী গ্রুপে যোগ দেওয়ার জন্য যোগাযোগ চালাচ্ছে।
তবে ইউপিডিএফর দায়িত্বশীল সূত্র এই ধরনের কোনো ঘটনা-ই ঘটেনি বলে জানিয়েছেন। এদিকে যুব ফোরাম নেতা মাইকেল চাকমার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমাকে কয়েকজন এই বিষয়টি নিয়ে ফোন করেছিলো। পরে আমি বিষয়টি নিয়ে খোঁজ করে এই ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে জেনেছি। তিনি জানান জেনেল চাকমা আমাদের যুব ফোরামের একজন সক্রিয় কর্মী এটা নিশ্চিত। বঙ্গলতলীর স্থানীয় একটি সূত্রে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, জেনেল কার্বারী ও তুহিন মনি চাকমাকে গুলি করে হত্যার পর চিন্তাছড়ি নামক এলাকার একটি পাহাড়ে মাটি চাপা দিয়ে রেখেছে হত্যাকারিরা।
সম্পাদনা- শামীমুল আহসান, ঢাকা ব্যুরোপ্রধান