॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥
রূপের রানী রাঙামাটির চোখ জুড়ানো প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র আর কাপ্তাই হ্রদের স্বচ্ছ জলরাশিকে পুঁজি করে এ জেলায় পর্যটন শিল্প বিকাশের অমিত সম্ভাবনা থাকলেও কর্তপক্ষের উদাসীনতা, উদ্যোক্তার অভাব এবং স্থানীয়দের মাঝে এই শিল্পের সম্ভাবনা ঘিরে স্পষ্ট ধারণা না থাকায় এই শিল্পটি দশকের পর দশক প্রায় এক জায়গাতেই দাঁড়িয়ে আছে বলে মত প্রকাশ করেছেন বক্তারা। তারা বলেন, স্থানীয় জনগণ যতদিন এ জেলায় পর্যটকদের আগমনকে নিজেদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি মোক্ষম সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করে একে ওউন (নিজের) করে নিতে পারবে না এবং নেতারা এই শিল্প বিকাশে আন্তরিক হবে না, ততদিন পর্যটন খাত অবহেলিতই থেকে যাবে।
বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে রাঙামাটি জেলা পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় এই মত প্রকাশ করেন বক্তারা। দিবসটি ঘিরে জেলা পরিষদ ম্যারাথন দৌঁড়, র্যালি, আলোচনা সভা ও সম্মাননা প্রদানের আয়োজন করে।
শনিবার রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে সকাল সাড়ে ৮টায় পর্যটন কমপ্লেক্স থেকে দৌঁড় প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এরপর শহরের জিমনেশিয়াম থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা পরিষদে এসে শেষ হয়।
পরে পরিষদের এনেক্স ভবনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙামাটি সদর সেনা জোনের বিদায়ী জোন কমান্ডার লে. কর্নেল মোহাম্মদ জুনাইদ উদ্দিন শাহ চৌধুরী বিশেষ অতিথি ছিলেন নবাগত জোন কমান্ডার লে. কর্নেল মো. একরামুল রাহাত, ট্যুরিস্ট পুলিশ রাঙামাটি রিজিয়নের পুলিশ সুপার খায়রুল আমিন।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেব প্রসাদ দেওয়ানের সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য রাখেন, সাবেক জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নিরূপা দেওয়ান, রাঙামাটি প্রেসক্লাবের সভাপতি আনোয়ার আল হক ও জেলা পরিষদ সদস্য ও পর্যটন বিষয়ক কমিটির আহ্বায়ক মো. হাবীব আজম। আলোচনা সভায় মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এবছরের ট্যুরিজম মিডিয়া ফেলোশিপ সম্মাননা প্রাপ্ত সাংবাদিক ইয়াছিন রানা সোহেল। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য প্রতুল চন্দ্র দেওয়ান, নাইপ্রু মারমা, বৈশালী চাকমা।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন রাঙামাটি পর্যটন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন অব রাঙামাটির সভাপতি বাদশা ফয়সাল ও রাঙামাটি বেতারের উপস্থাপিকা চৈতি ঘোষ।
আলোচনা সভা শেষে পর্যটন ব্যক্তিত্ব হিসেবে লেখক ইয়াছিন রানা সোহেল, সেরা রিসোর্টে রাঙ্গাদ্বীপ ও সেরা কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে আল আমিন সাজিদকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। এছাড়াও মাসব্যাপী ট্যুর গাইড প্রশিক্ষণে অংশ নেয়া প্রশিক্ষণার্থী ও ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার দেয়া হয়।