ঈদবঞ্চিত শিশুদের মুখে হাসি ফোটালো “ইয়ুথ মোস্তফা কামাল ফাউন্ডেশন”

620
॥ ইকবাল হোসেন ॥
চলমান করোনা পরিস্থিতি ও ঈদ-উল-আযহা কে উপলক্ষ্য করে “ঈদ উপহার ও শিক্ষা উপকরণ” বিতরণের মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মুখে হাসি ফোটালো “হাত খরচের টাকা বাঁচিয়ে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের স্বপ্ন পূরণ করি” স্লোগানে ২০১৫ সালে গঠিত রাঙামাটি পার্বত্য জেলার অন্যতম স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন “ইয়ুথ অর্গানাইজেশন ফর ইউনিটি ট্রাস্ট এ্যান্ড হেল্প (ইয়ুথ)” ও সংগঠনটির অন্যতম উপদেষ্টা প্রয়াত সাংবাদিক মোস্তফা কামালের স্বরণে ইয়ুথ কর্তৃক গঠিত “ইয়ুথ মোস্তফা কামাল ফাউন্ডেশন”।শুক্রবার (৩১ জুলাই) বিকেলে ঈদের ১দিন পূর্বে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে উক্ত কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বৃহত্তর বনরুপা ব্যবসায়ী কল্যাণ সমবায় সমিতি লিঃ সভাপতি ও ইয়ুথ’র অন্যতম উপদেষ্টা মো. আবু সৈয়দ।
Pic-2
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক রাঙামাটি পত্রিকার সম্পাদক এবং ইয়ুথের উপদেষ্টা আনোয়ার-আল-হক, রাঙামাটি পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর ৭নং ওয়ার্ড এবং ইয়ুথের উপদেষ্টা মো. জামাল উদ্দীন, ইয়ুথের প্রতিষ্ঠিাতা ও পরিচালক মো. ইকবাল হোসেন, সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক ম্যারেলিন এ্যানি মারমা, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রুপম তংচঞ্চ্যা, সদস্য- গোলাম মোস্তফা, মাহাতাব উদ্দীন সোহাগ, গালিব হাসান, অভি দে, মো. টিপু প্রমূখ।

এসময় প্রধান অতিথি বৃহত্তর বনরুপা ব্যবসায়ী কল্যাণ সমবায় সমিতি লিঃ সভাপতি ও ইয়ুথের অন্যতম উপদেষ্টা মো. আবু সৈয়দ বলেন, প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই ইয়ুথ সমাজের সুবিধাবঞ্চিত শ্রেণির জনগোষ্ঠিকে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে যা অবশ্যই প্রশংসার দাবীদার। তাই আগামীতেও ইয়ুখ এরুপ কার্যক্রম পরিচালনা করবে বলে আমি আশাবাদ ব্যক্ত করছি এবং সর্বদা আমি ইয়ুথের পাশে থাকব।

রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক রাঙামাটি পত্রিকার সম্পাদক এবং ইয়ুথের উপদেষ্টা আনোয়ার-আল-হক বলেন, ইয়ুথ সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পাশাপাশি অন্যান্য যে সকল সামাজিক উন্নয়নমূলক কার্যক্রম আগে পরিচালনা করেছে আগামীতেও তা অব্যহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এর পাশাপাশি তিনি ইয়ুথের আগামী দিনের কার্যক্রমের জন্য শুভকামনা জানান।

রাঙামাটি পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর ৭নং ওয়ার্ড এবং ইয়ুথের উপদেষ্টা মো. জামাল উদ্দীন বলেন, রাঙামাটিতে প্রতিটি ক্ষেত্রে ইয়ুথের সকল কার্যক্রম প্রশংসা কুঁড়িয়েছে। আমি শুরু থেকেই ইয়ুথের কার্যক্রমে সার্বিক সহযোগিতা করেছি আগামীতেও তা অব্যাহত রাখবো।

ইয়ুথের প্রতিষ্ঠিাতা ও পরিচালক মো. ইকবাল হোসেন বলেন, আমরা তালিকাভুক্ত ৬৫জন শিশুকে এই “শিক্ষা উপকরণ ও ঈদ উপহার” দিচ্ছি। এই সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সারা বছর আমরা নিজেদের হাত খরচের টাকা বাঁচিয়ে শিক্ষা উপকরণ দিয়ে যাব। তিনি শিক্ষা উপকরণ দিয়ে সহায়তা করায় রাঙামাটি পৌরসভার মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরীকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি এই কর্মসূচী বাস্তবায়নে যারাই সহযোগিতা করেছেন তাদের সকলের প্রতিও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

উল্লেখ্য- আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর তালিকাভুক্ত সকল শিশুর বাড়ি বাড়ি গিয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ইয়ুথের সদস্যরা ঈদ উপহার ও শিক্ষা উপকরণ পৌঁছে দিয়েছে।