স্টাফরিপোর্ট- ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, দৈনিক রাঙামাটি: রাঙামাটির স্থায়ী বসিন্দা তরুণ আইনজীবী, সমাজসেবক পারভেজ তালুকদার এবারের ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বচনে পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙামাটি আসনে পার্বত্য বাঙালি কমিউনিটির পক্ষ থেকে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন। ইতিমধ্যে ভোটারদের নজর ফেরাতে রাঙামাটি জেলাসদর ও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে তার পোস্টার ব্যনার শোভা পাচ্ছে। এদিকে জোটবদ্ধ যে কোনো দলের নমিনেশন পেতেও তিনি দৌড়ঝাপ করছেন বলে জানাগেছে। তবে কোনো দলের নমিনেশন না পেলেও তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করবেন এমই জানাগেছে। দেশ ও জনগণের সেবার মানসে কাজ করার ইচ্ছা থেকেই তিনি আইন বিষয় শিক্ষা নেন। তিনি বলেন, অঢেল টাকার মালিক নই বিধায় জনসেবার সহজ মাধ্যম হিসেবে আইন পেশাকে বেছে নিয়েছি। পাশাপাশি সরকারে থেকে মানুষের সেবা করতে চাই।
রাঙামাটির তরুণ এ নেতা নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে রাঙামাটির জনগণের উপকারে যে সব কাজ করতে চান বা তার নির্বাচনি ইস্তেহার হলো-১. রাঙামাটিতে সার্বক্ষণিক বিদ্যূতের ব্যবস্থা করা, ২. পর্যটন শিল্প বিকাশের মাধ্যমে বেকার যুবকদের জন্য কর্ম সংস্থানের ব্যবস্থা করা, ৩. রাঙামাটির সব উপজেলায় কারীগরী শিক্ষাসহ ভাল মানের স্কুল কলেজ প্রতিষ্ঠা করে শিক্ষার মান বৃদ্ধি করা এবং উচ্চশিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করা, ৪. রাঙামাটিতে উৎপাদিত আম, কাঠাঁল, আনারস, কমলাসহ বিভিন্ন ফলমূলের হিমাগার ও ফ্রুট ইন্ডাস্ট্রি প্রতিষ্ঠা করা, ৫. পর্যটন শিল্প বিকাশে লক্ষে প্রতিটি উপজেলা সদরে উন্নত মানের হোটেল মোটেল প্রতিষ্ঠা করাসহ রাঙামাটি লেকে সী প্লেন জোন প্রতিষ্ঠা করা, ৬. রাঙামাটিকে বিভাগীয় সদর করে পার্বত্য চট্টগ্রামকে বিভাগে রূপান্তর করা, ৭. পার্বত্য চট্টগ্রামে সংসদীয় আসন মাত্র ৩ টি। এ অঞ্চলে কম পক্ষে ৭ টি সংসদীয় আসন প্রতিষ্ঠা করা, ৮. সীমান্ত বাণিজ্য প্রসারের লক্ষ্যে বরকল সীমান্ত বন্দর পুরোপুরি চালু করা, ৯. সারা বছর সার্বক্ষনিক সড়ক ও নৌ যোগাযোগ উন্নত করা, ১০. চিকিৎসা সেবার উন্নতি করা, ১১. চামড়াশিল্প, দুগ্ধশিল্প, বস্ত্রশিল্পসহ নানান প্রকার শিল্প কারখানা প্রতিষ্ঠা করা, ১২. সাম্প্রদায়ীক সম্প্রীতি এবং ভ্রাতৃ প্রতিম দেশ ও সমাজ গঠন করা সহ সাভাবিক উন্নয়নে কাজ করার প্রতি শ্রুতি দিয়ে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।
নিম্নে আসন্ন ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয় প্রত্যাসি এ তরুণ নেতার পারিবারীক পরিচয় ও বর্ণাঠ্য কর্মময় জীবনের বর্ণনা তুলে ধরা হলো।
অ্যাডভোকেট এম এ কে পারভেজ তালুকদার ১৯৮১ সালের ডিসেম্বর মাসে চট্টগ্রাম শহরের চান্দগাঁও থানার ফয়জুল্লাহ বলীর বাড়ীতে এক সমভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। পারভেজের পিতা মো শফিউল আলম তালুকদার ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও রাঙামাটি জেলা আওয়ামী বাকশালের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের একজন। রাজনৈতিক জীবনের তিনি আওয়ামীলীগ নেতা প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রাজ্জাকের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। ১৯৭১ সালে কিশোর বয়সে তিনি চট্টগ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়মিত সহায়তা করতেন, তাদের রসদ অস্ত্র গোপনে পৌঁছেঁঁ দিতেন । যুদ্ধচলাকালে একদিন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র হতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের কন্ঠস্বর শুনে তিনি জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু বলে লাফ দিয়ে উঠেন। এর পর রাজাকাররা তাকে গুম করে। তিন মাস পর তিনি ছাড়া পান । এ সময় তাকে রাজাকারদের হাতে নির্মম নির্যাতন সইতে হয়। তার দাদা আহমদ মিয়া তালুকদার ছিলেন ব্রিটিশ ভারতের নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর একজন রাজনৈতিক সহচর। তিনি বার্মা তথা মায়ানমারের, পার্বত্য চট্টগ্রামের একজন ১ম শ্রেণীর ঠিকাদার ছিলেন। মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়মিত অর্থ সরবরাহ ও তাদের জন্য চট্টগ্রামে খুলেছিলেন লঙ্গরখানা। তার বড় দাদা বেদর আলী তালুকদার ছিলেন জাহাজের নামকরা একজন নাবিক। তিনি ছিলেন হাটহাজারীর মদুনাঘাট এলাকার সনাম খ্যাত একজন। বেদর আলীর পিতা ছিলেন রাঙ্গুনীয়ার জমিদার আহসান আলী তালুকদার। বেদর আলীর দাদা বদুঁ খান একজন আফগান উপজাতীয় নেতা ছিলেন বলে জানা যায়।
অ্যাডভোকেট পারভেজ এর দাদী আমেনা খাতুন ছিলেন চট্টগ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের কন্যা। তার ভাইয়ের ছেলে মরহুম তজু মিয়ার ছেলে বর্তমান সরকারের প্রবাসী ও বৈদেশিক কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম বিএসসি । অ্যাডভোকেট পারভেজ এর নানা মরহুম আলহাজ্ব নূর বখশ খান ছিলেন মুসলিম লীগ এর কেন্দ্রীয় নেতা এবং পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট মুসলিম লীগের নেতা ফজলুল কাদের চৌধুরীর সহচর। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে মতবিরোধের জের ধরে তিনি মুসলিম লীগ ত্যাগ করেন এবং মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন তিনি মুক্তিযোদ্বাদের নানাভাবে সহায়তা করেন। তিনি চট্টগ্রামের বলীরহাটে পাকনূর জামে মসজিদসহ বহু মসজিদ মক্তব প্রতিষ্ঠা করেন। অ্যাডভোকেট পারভেজের চাচা ওয়াহিদুল আলম ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা। ১৯৮৮ সালে ছাত্রলীগ করার কারণে তাকে আবদুইয়া নামক সন্ত্রাসী হত্যা করলে পিতা শফিউল আলম রাজনীতির প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েন। অ্যাডভোকেট পারভেজ বড় চাচা ইঞ্জিনীয়ার জানে আলম রাঙ্গুনীয়ার গাবতলা, রাঙামাটি শহরের শিমুলতলী মসজিদসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখেন ।
শিশু বয়স থেকে অ্যাডভোকেট পারভেজর রাঙামাটির কাঠালতলীতে পারিবারীক ভাবে নিজ বাড়ি শফি কলোনী এলাকায় স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে বসবাস করছেন। ছোট বেলা থেকে পড়ালেখাসহ বিভিন্ন বিষয়ে তিনি প্রতিভার সাক্ষর রাখেন। কাঠালতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে ৫ম, মুজাদ্দেদ-ই-আলফেসানী একাডেমী থেকে বিজ্ঞান বিভাগে ১ম শ্রেণীতে এসএসসি, রাঙামাটি সরকারী কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এইচএসসি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর, একই বিষয়ে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একই বিষয়ে এমফিল গবেষণা ও কোর্সওয়ার্ক শেষ করে বর্তমানে তিনি লন্ডনে বার এট-ল ডিগ্রী তথা ব্যারিস্টারী পড়াশোনায় করছেন। তিনি ২০০৮ সালে আইনজীবী হিসেবে চট্টগ্রাম জেলা বার এ্যাসোসিয়েশনে যোগদান করেন। পরবর্তীতে রাঙামাটি বার, চট্টগ্রাম ট্যাক্স বার ও সুপ্রিম কোর্ট বার এ্যাসোসিয়েশনে যোগদান করেন। তিনি বর্তমানে আইনজীবী এডভোকেট আবদুল বাসেত মজুমদারের চেম্বারে এসোসিয়েট হিসেবে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট- এ আইনপেশায় নিয়োজিত আছেন। তিনি আর্ন্তজাতিক আইনজীবী সংস্থা জাস কাউন্সিলের সদস্য। পার্বত্যবাসীদের আইনী অধিকার ও মানবাধিকার রক্ষায় সুপ্রিম কোর্টে ‘পার্বত্য আইনজীবী ঐক্য পরিষদ’ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি গরীব দু:খীদের আইন সহায়তার জন্য চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে প্রতিষ্ঠা করেন তালুকদার লিগ্যাল ক্লিনিক। তিনি স্বপ্ন দেখেন এ দেশে প্রতিটি মানুষ আইন মেনে ও সুশৃঙ্খল বাংলাদেশ গড়তে আইন শিক্ষা করবে এবং প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৫০ মার্কসের আইন পড়ানো হবে। এজন্য তিনি প্রতিষ্ঠা করেন আর্ন্তজাতিক সংগঠন আইন শিক্ষা কেন্দ্র (আশিক)।
তিনি আইন শিক্ষার জন্য ও আইনী সচেতনেতা বৃদ্ধির মানষে প্রকাশ করেন আইন বিষয়ক পত্রিকা অধিকার ও আইন। দীর্ঘদিন যাবৎ সাংবাদিকতা পেশায় জড়িত ছিলেন। দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার চট্টগ্রাম রিপোর্টার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার, চট্টগ্রাম আদালত রিপোর্টার, দৈনিক রাঙামাটি পত্রিকার যুগ্ম সম্পাদক, সাপ্তাহিক খবরের অন্তরালে, সাপ্তাহিক পার্বত্যকন্ঠ, মাসিক পাঞ্জেরী শিক্ষা সংবাদ, দৈনিক গিরিদর্পণসহ বহু পত্রিকার রিপোর্টার, সম্পাদক, কলামিস্ট ছিলেন। তার বহু কলাম বহু দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছে। তিনি প্রতিষ্ঠা করেন অনলাইন পোর্টাল পিসি নিউস ২৪.কম। এছাড়াও ঢাকাস্থ রাঙামাটি সাংবাদিক সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। তার লিখিত দুটি কবিতার বই ও পার্বত্য বিষয়ক গবেষণা বই প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে। তিনি শিক্ষকতা পেশায়ও জড়িত আছেন । তিনি রাঙামাটিতে সর্বপ্রথম শিক্ষা সহায়ক প্রতিষ্ঠান ‘স্টাডি ইন্সটিটিউট ও পিবিএমএ একাডেমী’ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি নবীন আইনজীবী ও আইন শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক আইন শিক্ষার জন্য দেশে সর্বপ্রথম প্রতিষ্ঠা করেন জুরিস্ট লিগ্যাল ইন্সটিউিট। স্কুল, কলেজ ও বিশ^বিদ্যালয় লেখাপড়া অবস্থায় রচনা, বক্তৃতা, স্বরচিত কবিতাপাঠ, আবৃত্তি, অভিনয়, বিতর্কসহ নানা প্রতিযাগিতায় ১ম স্থান অধিকার করেন। মানুষের জন্য মানবতার জন্য তিনি কাজ করে গেছেন রাঙামাটির বিখ্যাত সামাজিক সংগঠন রাঙামাটি মানবকল্যাণ পরিষদ, ফুলকুঁড়ি আসরের সদস্য হয়ে। লিও ক্লাব চট্টগ্রাম খাতুনগঞ্জ এর ছিলেন নির্বাচিত সেক্রেটারী। প্রতিষ্ঠা করেছেন মানবাধিকার সংগঠন অধিকার ও আইন। তিনি পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ রাঙামাটি জেলা শাখার প্রতিষ্ঠাতাদের একজন। কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি ছিলেন। পরবর্তীতে সমধিকার ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক ও পার্বত্য বাঙালি ছাত্র ঐক্য পরিষদ- এর প্রতিষ্ঠাতা কেন্দ্রীয় সভাপতি ও বর্তমানে প্রধান উপদেষ্ঠা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম সম-ধিকার আন্দোলন প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখেন। তিনি পার্বত্য এলাকার গণমানুষের প্রাণপ্রিয় সংগঠন গণপরিষদ এর মহাসচিব নিবার্চিত হন। পরবর্তীতে চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন চৌধুরী আলমগীর এর মৃত্যুতে পার্বত্য গণপরিষদ এর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০১ সালে পার্বত্য বাঙালিদের জন্য প্রতি সাবজেক্টে ১টি করে কোটা প্রবর্তন আন্দোলন করে সফল হন। এজন্য তিনি তৎকালীন পার্বত্য মন্ত্রীর রোষানলে পড়ে নির্যাতিত হন। তিনি ১৯৯৭ সালে চুক্তিবিরোধী আন্দোলনসহ, ২০১৬ সালে পার্বত্য বিভিন্ন ইস্যুতে ৫ বাঙালি সংগঠনের নেতৃত্ব দেন এবং ২০১৭ সালে রাঙামাটিতে লাখো মানুষের নির্যাতন নিপীড়ন বিরোধী মহাসমাবেশে আয়োজক হিসেবেও সফলতার সাথে নেতৃত্ব দেন। তিনি ইতোপূর্বে ভূমি কমিশন সংস্কার, উপজাতীয় পুলিশ নিয়োগসহ বিভিন্ন বিষয়ে হরতালসহ বহু মানববন্ধন সমাবেশ ও আন্দোলন করেন। রাঙামাটি প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় ও রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠায় তিনি ২০০০ সালে এক জনসভায় প্রস্তাব দেন এবং এ বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন তার সাথে আন্দোলন করেতে গিয়ে তার সংগঠন এর সদস্য নানিয়ারচরের মনির শহীদ হয়। তার হাত দিয়েই অস্ট্রেলিয়ান ডেভেলপমেন্ট স্কলারশিপ এ পার্বত্য বাঙালিরা অংশগ্রহন করার সুযোগ পায়। তিনি পার্বত্য ছাত্রছাত্রীদের উচ্চশিক্ষায় সহায়তাকল্পে চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ে স্টাডিসেল ও চট্টগ্রাম শহরে বেসরকারী পার্বত্য ছাত্রাবাসের ব্যবস্থা করেন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠা করেন রাঙামাটিয়ান স্টুডেন্ট ফোরাম যার মাধ্যমে উপজাতীয় ও বাঙালি ছাত্র ছাত্রীরা ব্যাপক শিক্ষা সহায়তা লাভ করেন। পার্বত্যবাসী ছাত্রছাত্রীর/সর্বস্তরের জনগণের চাকুরী আবাসন ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধার জন্য চট্টগ্রাম প্রতিষ্ঠা করেন চট্টগ্রামস্থ পার্বত্য উন্নয়ন ফোরাম। এ সংগঠনের মাধ্যমে পার্বত্য এলাকার বহু ছাত্রছাত্রী চাকুরীসহ নানাসুবিধা লাভ করেন। তিনি চট্টগ্রামে বহু স্কুল প্রতিষ্ঠার সাথে জড়িত এবং প্রিয় রাঙামাটি, প্রিয় চট্টগ্রাম, রাঙামাটি বøাড ব্যাংক ও রাঙামাটি সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর উপদেষ্টা। এসব সংগঠন চট্টগ্রাম ও রাঙামাটিতে দরিদ্র শিশুদের জন্য বহু স্কুল পরিচালনা কওে আসছে। আ্যডভোকেট পারভেজ এসব সংগঠন ও ব্যক্তিগত উদ্দ্যোগে ২০১৭ সালের জুন মাসে কাউখালী, কাপ্তাই, রাঙামাটিতে সংগঠিত পাহাড়ধ্বসে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষকে লঙ্গরখানা খুলে খাবার ও ত্রাণসহায়তা দেন।
এছাড়া তিনি ছিলেন রাঙামাটি বেতারের এনলিস্টেড ঘোষক ও অভিনয় শিল্পী, করেছেন মঞ্চ নাটকসহ বহু অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠান উপস্থাপক হিসেবে তিনি বেশ সুনামের অধিকারী। বর্তমানে সুপ্রিম কোর্ট এর একজন আইনজীবী হিসেবে মানুষের সেবায় পার্বত্য বাসীর উন্নয়নে প্রতি ঘরে চাকুরী, বিদ্যুত, সুস্বাস্থ্য, উন্নত কার্যকর শিক্ষা, ২৪ ঘন্টা উন্নত যোগাযোগ আর জীবনমানের উন্নয়নে অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়ে ২৯৯ রাঙামাটি আসন হতে সংসদ সদস্য পদে প্রার্থী হয়েছেন। তরুণ এ আইনজীবীর স্বপ্ন পূরণে তাকে নির্বাচিত করে পার্বত্য বাসীর হারানো অধিকার ফিরেতে ভোট দিয়ে তাকে বিজয়ী করা উচিৎ।
পোস্ট করেন- শামীমুল আহসান, ঢাকা ব্যুরো প্রধান।