খাগড়াছড়িতে সিএনজি ভাড়া নিয়ে নৈরাজ্যের অভিযোগ যাত্রিদের

567

॥ আল-মামুন ॥
করোনা ভাইরাসকে পুঁজি করে সামাজিক দূরত্বের নামে সাধারণ জনগণের পকেট কাটছে ভাড়ায় চালিত সিএনজিগুলো। সারা বিশ্ব যেখানে করোনার ভয়ে থরথর করে কাঁপছে, সেখানে পার্বত্য খাগড়াছড়িতে দূরপাল্লার যাত্রীবাহি বাসের সাথে পাল্লা দিয়ে সাধারণ জনগনকে লুটপাট করছে ভাড়ায় চালিত সিএনজি অটো রিক্সা।

দীর্ঘ দিনের লকডাউনে এমনিতেই কর্মহীন হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। উপজেলা থেকে উপজেলা, বাজার ঘাটের জন্য এ সকল মানুষের চলাচলের একমাত্র বাহণ হচ্ছে সিএনজি। আর এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সামাজিক দূরত্বের নামে ভাড়া দিগুন অর্থাৎ ১০০ভাগ বাড়িয়ে দিয়েছে সিএনজি সমিতি গুলো।

বাস্তবচিত্র ঘুরে দেখা যায়, খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি, গুইমারা, মাটিরাংগা, রামগড় একই নিয়মে দ্বিগুন ভাড়া আদায় করছে তারা। আবার চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় খোজ খবর নিয়ে জানা যায় সেখানে ছোট গাড়ি গুলো চলছে আগের নিয়মে সেখানে তাদের উপর এই ধরনের কোন কাল্পনিক আইনও নেই। ভাড়াও নিচ্ছে আগেরমতই। তাহলে এই ধরনের নিয়ম কি শুধুই পার্বত্য অঞ্চলের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের জন্য প্রশ্ন সাধারণ মানুষের।

দেশের এমন করুন সময়ে কেন ভাড়া বাড়ানো হয়েছে তা জানতে চাইলে জালিয়াপাড়া সিএনজি সমিতির সভাপতি মো. ফোরকান বলেন, উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার জন্য আমাদেরকে ২জন যাত্রী বহনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে, কিন্তু খরচ পোষানোর জন্য আমরা ৩জন নিয়ে থাকি। এবং আমরা যেহেতু আগে ৫জন যাত্রী বহন করতাম তাই বাকি দুইজনের ভাড়া পোষানোর জন্য ভাড়া দিগুন করেছি।

সিএনজির পেছনের সিটের দৈর্ঘ্য ৩ফিট, এই ৩ফুট দূরত্বের মাঝে ৩জন করে যাত্রী বসিয়ে কি করে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত হচ্ছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন সেটা উপজেলা প্রশাসনকে জিজ্ঞেস করুন। এই বিষয়ে জালিয়াপাড়া সিএনজি সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওহাব বলেন, আমরা উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশেই এই নিয়ম করেছি। উপজেলা প্রশাসনের কোন লিখিত নোটিশ আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি আমাদেরকে কোন লিখিত দেননি মৌখিক ভাবে বলেছেন।

এই ব্যাপারে গুইমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তুষার আহম্মেদ এর মুটো ফোনে বার বার চেষ্টা করা সত্বেও ফোন রিসিভ না করায় তাঁর বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে মানিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তামান্না মাহমুদ বলেন, তাদেরকে নিরাপদে থাকার জন্য যথা সম্ভব সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বলা হলেও এই ধরনের ভাড়া বৃদ্ধি বা ৩ জন যাত্রী বহনের নির্দেশনা আমি দেইনি। তবে এই বিষয়টা আমি দেখছি।

মাটিরাংগা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিভিষন কান্তি দাশ বলেন, আমি কোন গাড়িকে এই ধরনের কোন নির্দেশনা দেইনি, যদি তারা বলে তাহলে লিখিত দেখাতে বলেন। তবে বিষয়টা আমি খতিয়ে দেখছি।