রাঙামাটি সেনা জোনের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মো. রেদওয়ানুল হক পিএসসি তরুণ সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, যন্ত্রের খেলার দিক থেকে আসক্তি কমিয়ে মাঠের খেলাধুলার প্রতি মনোযোগী হতে হবে।
কারণ এর মাধ্যমে একই সাথে মানসিক ও শারীরিক দক্ষতা বৃদ্ধি পায়। তিনি বলেন খেলাধুলা ও শারিরিক কসরত সমাজে পারস্পরিক সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ববোধের বন্ধন সুদৃঢ় করে।
সোমবার রাঙামাটি কুমার সমিত রায় জিমনেশিয়ামে ১০দিনব্যাপী কারাতে প্রশিক্ষণের সমাপনী দিনের পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সদ্য যোগ দেয়া জোন কমান্ডার এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, এখন যন্ত্রের দৌরাত্মে শিশুরা বাহিরের খেলা ধুলা থেকে বিমুখ হচ্ছে। অথচ ঘরবন্দি বাচ্চাদের মানসিক ও শারীরিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। পরবর্তীতে বাইরের জগতের সাথে নিজেদের মানিয়ে নিতে পারে না। নানারকম সমস্যার সম্মুখিন হতে হয়। তাই ছেলেমেয়েদেরকে ঘরবন্ধি না রেখে খেলাধুলার বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে দেয়া উচিত।
তিনি প্রশিক্ষণার্থী অভিভাবকদের বিবেকবান আখ্যায়িত করে বলেন, সন্তানদের উপযুক্ত হিসেবে গড়ে তুলতে আপনাদের অনুপ্রেরণা সত্যিই প্রশংসিত। তিনি কারাতের খেলার প্রসারে সার্বিক সহযোগিতা করে যাবার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
রাঙামাটি জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য ও জুডো কারাতে, শরীর গঠন উপ-পরিষদের আহবায়ক ফজলুল করিম এর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মেজর মো. মাহমুদ, জেডওসি, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ সম্পাদক আবু সাদাৎ মোঃ সায়েম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কিংশুক চাকমা প্রমূখ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কারাতে ফেডারেশনের কোচ মো. এহসান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ক্রিকেট উপ-পরিষদের সদস্য মো. হান্নান।
প্রশিক্ষণের সমাপনী দিনে ২০জন প্রশিক্ষণার্থীর মাঝে সনদপত্র বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে একই সাথে রাঙামাটি হতে প্রথম ব্ল্যাক বেল্ট পাওয়া জসি চাকমাকে সনদপত্রসহ সম্মাননা দেয়া হয়। দশদিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে স্থানীয় কোচ ছিলেন যশস্বী চাকমা। বাংলাদেশ কারাতে ফেডারেশনের ব্যবস্থাপনায় ও রাঙামাটি জেলা ক্রীড়া সংস্থার জুডো কারাতে, শরীর গঠন উপ-পরিষদের আয়োজনে ১০দিনের এ প্রশিক্ষণ পরিচালিত হয়।