জাতির পিতার হত্যাকারীরা এখনো দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে: দীপংকর তালুকদার

157

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥

জাতির পিতার হত্যাকারীরা এখনো দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি। তিনি বলেন, দেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র ও অস্থিতিশীল করার প্রচেষ্টায় দেশী বিদেশী যেই হোকনা কেন তাদের বিরুদ্ধে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে রুখে দিতে হবে। আমাদের ঐক্যবদ্ধতায় তাদের সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ হয়ে যাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

সোমবার (২২ আগস্ট) সকালে বরকল উপজেলার সম্মেলন কক্ষে জাতির পিতার ৪৭তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি এসব কথা বলেন।

বরকল উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক ডাঃ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক ও বরকল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সন্তোষ কুমার চাকমা, রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ সদস্য ও বরকল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সবির কুমার চাকমা, বরকল উপজেলা সদরের চেয়ারম্যান প্রভাত কুমার চাকমা, বরকল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি জাফর ইকবালসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা বক্তব্য রাখেন।
সভায় রাঙ্গামাটি সংসদ সদস্য ও খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি আরো বলেন, স্বৈরতন্ত্রের প্রতিভূ বিএনপি-জামাত গোপন অভিপ্রায়ে রয়েছে গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করার নানামুখী ষড়যন্ত্রের নীলনকশা। নির্বাচনে অংশ না নেওয়া, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা, নির্বাচন কমিশন ও গণতান্ত্রিক কাঠামোকে শক্তিকরণে অনীহা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা, দেশবিরোধী অপতৎপরতায় লিপ্ত থাকা সেই নীলনকশারই বহিঃপ্রকাশ মাত্র।

তিনি বলেন, বিভিন্ন সময় বিএনপি-জামাত শাসনামলের দুঃসহ নির্যাতন-নিষ্পেষণ এখনো দেশবাসীর স্মৃতিতে আম্লান হয়ে আছে। বাংলার জনগণ সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ক্ষুধা-দারিদ্র ও চরম অনিশ্চয়তার দুর্বিসহ সময়ে ফিরে যেতে চায় না। সেই অন্ধকারময় সময় কাটিয়ে বাংলার জনগণ বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে আলোকজ্জ্বল আগামীর পথে এগিয়ে চলেছে। আর দেশের এই অগ্রযাত্রাকে আরো বেশী বেগবান করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানান তিনি।

এর আগে সকালে জাতীয় পতাকা, দলীয় পতাকা ও কালো পতাকা উত্তোলন ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।