॥ ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি ॥
দেশের সর্ববৃহৎ বুদ্ধমূর্তি নির্মিত হয়েছে পার্বত্য জেলা রাঙামাটির জুরাছড়িতে। এ বুদ্ধমুর্তি উৎসর্গ উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনে বৃহস্পতিবার এ উপলক্ষে ১২৬ ফুট দীর্ঘ সিংহশয্যা বুদ্ধমূর্তিদান,সংঘদান অষ্টপরিস্কার দান,পঞ্চশীল গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,খাদ্য মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার,রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী,সাবেক মানবাধিকার কমিশনের সদস্য নিরুপা দেওয়ানসহ বিভিন্ন দেশ ও এলাকা থেকে আগত পূর্ণার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে,বৃহস্পতিবার বিকালে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চাকমা রাজা ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়। অপরদিকে,১২৬ ফুট দীর্ঘ সিংহশয্যা বুদ্ধমূর্তিটির জীবদান উৎসবকে ঘিরে তিন দিনব্যাপী দানোৎসবের উৎসবে হাজারো পূর্ণার্থীর ঢল নেমেছে জুরাছড়ির সুবলং শাখা বনবিহারে।
জানা গেছে,পার্বত্য চট্টগ্রামের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের পরমপূজ্য বনভন্তের স্মৃতি স্মারক হিসেবে জুরাছড়ি উপজেলার বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মানুষ ও এ উপজেলা হতে ভিক্ষুরা (বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরু) দেশের সর্ববৃহৎ ও দীর্ঘতম সিংহশয্যা বুদ্ধমূর্তি নির্মাণের উদ্যোগ নেন ২০১২ সালে। ২০১৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারিতে বুদ্ধমূর্তিটি নির্মাণ শুরু হয়ে ২০২১ সালের শেষ দিকে এসে নির্মাণকাজ শেয় হয়। বুদ্ধমূর্তির স্থপতি ছিলেন বিশ্বজিৎ বড়ুয়া,প্রতিপদ দেওয়ান ও দয়াল চন্দ্র চাকমা। প্রকৌশলী ছিলেন তৃপ্তি শংকর চাকমা ও অঙ্কনের দায়িত্বে ছিলেন বিমলানন্দ স্থবির।
বিহার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে,দায়ক-দায়িকা,উপাসক-উপাসিকাদের দানের অর্থেই প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে এই বুদ্ধমূর্তির নির্মাণ করা হয়। সাড়ে ১২ একর জায়গাজুড়ে গঠিত জুরাছড়ি উপজেলার সুবলং শাখা বনবিহারে নির্মিত বুদ্ধমূর্তির নিরাপত্তায় বিহারের নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক ও বিহারের আশপাশের এলাকা ক্লোজডসার্কিট (সিসি) ক্যামেরা বসানো হয়েছে। বুদ্ধমূর্তিটি বিহারে নির্মিত হলেও সাধারণ জনসাধারণের জন্য এটি পরিদর্শন উন্মুক্ত থাকবে। ইতোমধ্যে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষ ছাড়াও পর্যটকরা বুদ্ধমূর্তিটি দেখতে যাচ্ছেন।
দানোৎসর্গ অনুষ্ঠানের ধর্ম দেশনা দেন রাঙামাটি রাজবন বিহারের আবাসিক প্রধান প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির।