জুরাছড়ির জামুরাছড়ি গ্রামে বিশেষ ধর্মীয় অনুষ্ঠান

507

Exif_JPEG_420

জুরাছড়ি সংবাদদাতা- ৫ মার্চ ২০১৬, দৈনিক রাঙামাটি : জুরাছড়ি উপজেলার দূর্গম জামুরাছড়ি গ্রামে এলাকাবাসির সর্বাবিক সহযোগিতায় সংঘদান, বৌদ্ধমূর্তি দান, ত্রিপিটকদানসহ নানা ধর্মীয় আয়োজনের মধ্য দিয়ে প্রার্থনা করেছে এলাকাবাসী। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ১৩৭ নং পানছড়ি মৌজার কার্বারী রমেজ চাকমা, সভা পরিচলনা করেন বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি বয়েন্ত চাকমা। পঞ্চশীল প্রার্থনা করেন কাঠালতলী  সররকারি প্রা: বিদ্যারয়ের সহকারি শিক্ষিকা রসিনা চাকমা। প্রথমে পুজনীয় ভিক্ষু সংঘকে ফুলদিয়ে বরন করো নেয় ছোট সোনামনিরা। পরে সংকিৎস স্থবির ধর্মদেশনা প্রদানকালে গুরু বলেন এ যুগের মহামানব সত্য পরিনর্বাণ প্রাপত্ব বনভান্তের প্রতি বিশ্বাস রেখে জুরাছড়ি উপজেলায় বুদ্ধের নিদর্শন ধরে রাখার জন্য একটি ১২৬ফুট বুদ্ধমূর্তি নির্মাণ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে তিনি সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন বৌদ্ধধর্ম শ্রেষ্ট ধর্ম হিসেবে সারা বিশ্বে স্বীকৃত। কারণ বৌদ্ধ ধর্ম সকল হিত সুখ মঙ্গল কামনায় প্রার্থনা করেন। সকল প্রাণির প্রতি সদয় হওয়ার জন্য তথাগত বুদ্ধ শিক্ষা দিয়েছেন। বৌদ্ধের অহিংসা মৈত্রির ধর্ম তাই আজ সারা বিশ্বে শ্রেষ্ঠ ধর্ম হিসেবে লাভ করেছে। তিনি বলেন, পঞ্চশীল রক্ষা করতে পারলে গৃহী জীবনে সুখ সমৃদ্ধি বয়ে আনে। তাই বুদ্ধের অহিংসা নীতিকে বিশ্বাসী হয়ে প্রাণী হত্যা, চুরি,ব্যাভিচার,মিথ্যা কথা বলা,নেশা থেকে বিরত থাকতে বলেন।পরে সকল প্রাণীর জন্য পরিত্রাণ শ্রবণ করা হয়।গ্রামে সকল প্রকার অমঙ্গল, অন্তরায় ও উপদ্রব দরীভূত হয়ে উন্নতি শ্রীবৃদ্ধি ও শান্তি বিরাজের কামনা জানিয়ে ভিক্ষু সংঘ মঙ্গল সুত্র পাঠ করেন। এবং প্রকৃত বুদ্ধের শিক্ষায় আদর্শীত হয়ে সকাল -বিকাল ত্রিরতœ বন্দনা পালন করার জন্য সকলকে অনুরোধ করেন। তিনি আরো বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে সকল রাজনৌতিক নেতা কর্মিদের প্রতি অনুরোধ করেন যে,অতীতে যেভাবে মগধ রাজা বিম্বিসার, রাজা প্রসেনজিৎ সহ রাজারা বৌদ্ধ ধর্মকে উজ্জল করার জন্য অবদান রেখেছেন ঠিক তেমনি দেশ জাতি মঙ্গল কমনায় আপনাদের এগিয়ে আসতে হবে।

পোস্ট করেনন- শামীমুল আহসান, ঢাকা ব্যুরোপ্রধান