দুর্ঘটনায় ভাঙ্গা কুতুকছড়ির বেইলী ব্রীজ আজ খুলে দেয়া হচ্ছে বিকল্প সড়ক

339

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥
পাথর বোঝাই ট্রাকের ভারে ভেঙ্গে পড়া রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কের কুতুকছড়ি এলাকার বেইলী ব্রীজটি পুণঃ সংস্কারের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। তবে ব্রীজটি নির্মাণে আরো কিছুদিন সময় লাগতে পারে। এদিকে ব্রীজের পাশ ঘেঁসে তৈরী করা একটি বিকল্প সেতু  আজ সোমবার থেকে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। তবে বিকল্প সড়ক চালু হলেও তা হবে শুধু হালকা যানবাহনের জন্য জন্য।

চলতি জানুয়ারি মাসের ১২ তারিখ দিনের আলো ফুটতেই জানা গেলো কুতুকছড়ি বেইলী ব্রীজটি ভেঙ্গে প্রাণ হারিয়েছে তিনজন। অতিরিক্ত পাথর বোঝাই ট্রাকটি তখন পানিতে। ১৯৮৪ সালে নির্মাণ করা এই বেইলী সেতুটি অতিরিক্ত পাথর বোঝাইয়ের কারণেই ভেঙ্গে পড়েছে বলে সড়ক বিভাগের দাবি। তবে ব্রীজটি মেরামতে দ্রুতই তৎপর হয়েছে কর্তৃপক্ষ। সড়ক বিভাগ সেনাবাহিনীর ২০ ইসিবি’র সহায়তায় দ্রুতইযান চলাচলের উপযোগী করতে দিনরাত পরিশ্রম করে কাজ করে যাচ্ছে।

দুর্ঘটনায় ব্রীজটি ভেঙ্গে পড়ার পর গত প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে ভোগান্তি পোহাচ্ছে ওই সড়কে চলাচলকারী লোকজন। বন্ধ রয়েছে রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি-মহালছড়ি-নানিয়ারচর সড়কের সরাসরি যান চলাচল। এদিকে এলাকাবাসীর দাবি গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটির বেইলী বীজটি ভেঙ্গে সহসাই সেখানে গার্ডার বীজ নির্মাণ করা হোক।

দু’একদিন আগে সরেজমিনে কুতুকছড়ি ব্রীজ এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ব্রীজটি ভেঙ্গে যাওয়ায় কুতুকছড়ির এলাকাবাসী নিজ উদ্যেগে ইতোমধ্যে বাঁশের সাকো তৈরী করে সাময়িকভাবে চলাচল করছে। তাদের দাবী- ওই এলাকার পুরাতন বেইলী ব্রীজটি খুলে নতুন করে একটি পাঁকা ব্রীজ নির্মাণ করা হোক।

এ বিষয়ে ২০ ইসিবি’র প্রকল্প কর্মকর্তা মেজর এস এম খালেদুল ইসলাম, ইসিবি ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড এর নির্দেশে আমরা সড়কটি যান চলাচলের উপযোগী করতে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছি।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: শাহে আরেফীন জানালেন, ক্ষতিগ্রস্ত সড়কটি মেরামত করার লক্ষ্যে রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২০ ইসিবি গত ১৫ জানুয়ারী থেকে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে একটি বিকল্প সড়ক নির্মাণে কাজ শুরু করে। ১৪০ ফুট দৈর্ঘ্যরে বেইলী সেতু এবং ২৪০ মিটার এপ্রোচ সড়ক নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। অবশেষে অতি দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিকল্প সড়কটি নির্মাণ শেষ হওয়ায় আজ যান চলাচলে জন্য উন্মুক্ত করা দেয়া হচ্ছে।

গার্ডার ব্রীজ বা স্থানীয়দের ভাষায় পাকা ব্রীজ নির্মাণের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: শাহে আরেফীন জানালেন, কুতুকছড়ির ৮১ মিটার দৈর্ঘ্য বেইলী সেতুটি তো বটে, বরং তিন পাবর্ত্য জেলার ৯৭ টি বেইলী সেতু এবং চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের ২০ টি বেইলী সেতুর স্থলে আরসিসি গার্ডার ব্রীজ নির্মানে ইতোমধ্যেই ১ হাজার ৩০৮ কোটি টাকার প্রকল্প নেয়া হয়েছে। পাহাড়ের মানুষ এখন সেই সুদিনের প্রতীক্ষায়।