আলমগীর মানিক
পবিত্র রমজানে সবকিছু স্বাভাবিক হলেও অস্থির থাকে নিত্যপন্যের বাজার। প্রতি বছর পবিত্র রমজানে চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজ, ছোলা থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির দাম বাড়িয়ে দেন ব্যবসায়ীরা। তারই ধারাবাহিকতায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের অসাধু ব্যবসায়িদের সাথে যোগসাজস রেখে পার্বত্য রাঙামাটিতেও যাতে করে অসাধু ব্যবসায়িরা নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল জিনিসপত্রের দাম বাড়াতে নাপারে সে লক্ষ্যে নিজেই স্থানীয় হাট-বাজারগুলোতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেছেন রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান।
মঙ্গলবার (০৫এপ্রিল) সকালে রাঙামাটি শহরের বনরূপা, তবলছড়ি, কলেজ গেট এলাকার দোকানগুলোতে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য, কাচা বাজারসহ মাংসের দোকান পরিদর্শন করেন তিনি। পরিদর্শনের সময় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আল মামুন মিয়া, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অঞ্জন কুমার দাস, রাঙামাটি কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ কর্মকর্তা কবির হোসেনসহ গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
রাঙামাটির বাজারগুলোতে শপিংমল, মুদির দোকানসহ অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয় এবং বনরূপা এলাকার দু’টি মুদি দোকানীকে দ্রব্যের অতিরিক্ত মূল্য নেওয়ার অপরাধে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তিন হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এদিকে অভিযানের সময় জেলা প্রশাসক বলেন, রমজান মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ রাখতে বাজার মনিটরিং করছি। ব্যবসায়িদের কে বাজারের দ্রব্যমূল্য তালিকা তৈরি করাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি যাতে অধিক মূল্যে বিক্রি না করে তার নির্দেশনা দিচ্ছি। প্রতিদিন রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবে এবং কোনো অসাধু ব্যবসায়ী পন্যের নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত দাম রাখার প্রমান পেলে তাদের বিরুদ্ধে রাঙামাটির জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ কঠোর ব্যবস্থা নেবে বলেও জানিয়েছে জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান।
এদিকে বাজারগুলোতে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হওয়ায় উৎকন্ঠিত ক্রেতা সাধারনের মাঝে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরে এসেছে এধরনের অভিযান চলমান রাখার দাবি জানিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা।