নারায়নগঞ্জ থেকে ৯৪ শ্রমিক ট্রাকযোগে লংগদুতে

619

covid19

॥ ওমর ফারুক মুছা, লংগদু ॥

নারায়নগঞ্জ থেকে নারী ও শিশুসহ ২১ পরিবারের ৯৪ জন ইট ভাটার শ্রমিক রাঙামাটির লংগদুতে প্রবেশ করেছে।  সারা দেশে করোনা ভাইরাসের প্রভাবে এক এলাকার লোকজন অন্য এলাকায় যাওয়া নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা এরা ঢুকে পড়ে। অবশ্য লংগদু পুলিশ ও উপজেলা প্রসাশন তাদের আটকিয়ে ১৪দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে রেখেছে।

তিনটি ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে তিনটি পৃথক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তাদের ১৪দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন।

IMG_20200504_120411

সোমবার(৪মে), লংগদু থানার ওসি সৈয়দ মোহাম্মদ নুর জানায়, নারায়নঞ্জের বন্দর এলাকা থেকে দুটি ট্রাক যোগে নারী ও শিশু সহ ২১ পরিবারের ৯৪ জন শ্রমিক খাগড়াছড়ি হয়ে লংগদু উপজেলার বাইট্টাপাড়ায় আসেন। আগতরা সবাই শ্রমিক ও তাদের পরিবার পরিজন। তারা নারায়নঞ্জের বন্দর এলাকায় ইট ভাটায় শ্রমিকের কাজ করতো। বর্তমানে সেখানে কাজ না থাকায় ঐশ্রমিকরা পরিবার পরিজন নিয়ে নিজেদের এলাকা লংগদুতে চলে এসেছেন। এদের মধ্যে মাইনীমুখ ইউনিয়নের ৩৪জন, গুলশাখালী ইউনিয়নের ৪৩ জন, কালাপাকুজ্জা ইউনিয়নের রয়েছে   ১৭ জন।

লংগদুতে আগত শ্র্রমিকদের প্রাথমিকভাবে জ্বর ও শারিরীক পরীক্ষা করেছে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের স্বাস্থ্য সহকারীরা।

মাইনীমুখ ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলী জানান, আমার ইউনিয়নের ৩৪ জনকে মাইনীমুখ সরকারী প্রাথমিক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাখা হবে। গুলশাখালী উইপি চেয়ারম্যান আবু নাছির জানান, গুলশাখালী ইউনিয়নের ৪৩ জনকে মোহাম্মদপুর, রাজনগর ও কাকপাড়ি এলাকায় এবং কালাপাকুজ্জা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তফা মিয়া জানান কালাপাকুজ্জার ১৭জনকে এলাকার গোলটিলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে।

আগত শ্রমিকরা জানায় বর্তমান করোনা সঙ্কটের কারণে ইটভাটার কাজ কর্ম বন্ধ। সেখানে আমাদের কেউ সাহায্য সহযোগিতাও করে না। আমরা মানবেতর জীবন যাপন করছি। কোন উপায়ন্ত না দেখে নিজ এলাকায় চলে আসতে বাধ্য হয়েছি।

লংগদু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাইনুল আবেদিন জানান, নারায়নগঞ্জ থেকে আগত শ্রমিকদেরকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে দুপুরের খাবার দেওয়া হয়েছে। তিনটি ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যানদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এলাকার সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতে হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হয়।এব্যাপারে প্রশাসনিকভাবে সকল সহযোগিতা দেওয়া হবে।

লংগদু উপজেলা পরিষদের চেয়ানম্যান আব্দুল বারেক সরকার, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ক্যাথোয়ই প্রু মারমা, ওসি সৈয়দ মোহাম্মদ নুর, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ারা বেগম, উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা যোবায়ের আহম্মেদ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে নারায়নগঞ্জ থেকে দুই গাড়ি লোকজন আসায় লংগদুর জনসাধারণের মাঝে করোনা ছড়িয়ে পড়েছে। আর যাতে কোন লোক লংগদুতে ডুকতে না পারে তার জন্য প্রশাসনের নজরধারী বাড়ানোর দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।