পর্যটন শিল্পের বিকাশ এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন ১টি আরএকটির পরিপুরকঃ এমপি দীপংকর

150

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥

খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি বলেছেন, যোগাযোগ, পর্যটন শিল্পের বিকাশ এবং অর্থনৈতিক উন্নয় একটি আর একটির পরিপুরক। তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, আসামবস্তি-কাপ্তাই সড়কের উন্নয়নের কারণেই এই সড়কের আসেপাশে বিগত কিছুদিনের মধ্যে বেশ কিছু রিসোর্ট গড়ে উঠেছে। এসব রিসোর্ট স্থানীয়রাসহ পর্যটকদের আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। এই সুবাদের মানুষের আনাগোনা বাড়ছে এবং এলাকাবাসীর অর্থনৈতিক পরিবর্তনে গতি সঞ্চার হয়েছে। কাজেই বাস্তবেই দেখা যাচ্ছে যে ‘যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হলে পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটে, এলাকার মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থারও উন্নতি হয়।’ তিনি বলেন, কিন্তু একটি মহল এই উন্নয়নকে ব্যাহত করতে সদা তৎপর রয়েছে, যা দুঃখজনক।

শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) সকালে রাঙামাটির আসামবস্তি-কাপ্তাই সড়কে এলজিইডির অর্থায়নে নির্মিত চারটি সেতু উদ্বোধন কালে এমপি এমন মন্তব্য করেন।

এ সময় রাঙামাটি এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী আহমেদ শফি জানান, আসামবস্তি-কাপ্তাই সড়কে ৪৮, ১২০, ৯৬ ও ৪৮ ফুটের মোট চারটি নতুন সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হয়েছে প্রায় ১৫ কোটি টাকা। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, সড়কটি উন্নয়ন কাজ এই এলাকায় পর্যটন শিল্পের বিকাশে অসামন্য অবদান রাখতে সক্ষম হবে। সম্প্রসারিত সড়কে কাজের বিষয়ে প্রকৌশলী জানান, করোনার কারণ, ফান্ডের সমস্যা, ঠিকাদারের কিছু গাফিলতি সবমিলিয়ে মানুষের ভোগান্তি হয়েছে। কাজে এখন গতি এসেছে। আশা করছি দ্রুততম সময়ে কাজ শেষ হবে।’

প্রকল্পের ঠিকাদার মো: জসিম উদ্দিন বলেন, ‘পাহাড়ি এলাকায় কাজ করতে নানামুখী সমস্যায় পড়তে হয়। আমরা আমাদের মতো চেষ্টা করেছি, যাতে সেতুগুলোর কাজ সঠিক সময়ে শেষ করা যায়। তারপরও নানা কারণে কিছুটা সময় বেশি লেগেছে।’

আসামবস্তি-কাপ্তাই সড়কের একপাশে সবুজ পাহাড়। অন্যপাশে কাপ্তাই হ্রদ। হ্রদ ও পাহাড়ের মেলবন্ধন থাকায় এই সড়কটি দ্রুতই মুগ্ধতা ছড়ায় পর্যটকদের কাছে। পর্যটন সম্ভাবনা থাকায় এই সড়ক ধরে গড়ে উঠেছে প্রায় দশটি রিসোর্টসহ অসংখ্য ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। সেতুগুলো উদ্বোধন হওয়ায় আরও সম্ভাবনার দ্বার খুললো এই সড়কে।