পার্বত্য উপজাতি কোটা বাতিলের দাবি

355

স্টাফরিপোর্ট- ৩ জুলাই ২০১৮, দৈনিক রাঙামাটি (সংবাদ বিজ্ঞপ্তি):  বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জালাল-জাহাঙ্গীর) গ্র“পের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা এবং ২নং সেক্টরের বীর মুক্তিযোদ্ধা চাঁদপুর থানা এফএফ মনিরুজ্জামান মনির এক বিবৃতিতে ঢাকা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং নোয়াখালীতে কোটা সংস্কারের দাবীতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারী মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের উপর বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। মূলত ঐসব হামলাকারীরা ছাত্র নামের কলঙ্ক এবং ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশকারী বলেই আমরা মনে করি। বঙ্গবন্ধুর ছাত্রলীগ কখনোই এধরনের পাক বাহিনীর মত বর্বর হামলার দায়দায়িত্ব নিতে পারে না। তিনি এই হামলাকারীদেরকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে বিচার এবং আহত ছাত্র-ছাত্রীদের সরকারী দায়িত্বে সুচিকিৎসা এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জন্য দাবী জানান।

অপর এক বিবৃতিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম সমঅধিকার আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব এবং রাঙামাটি জেলার মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মনিরুজ্জামান মনির আরো বলেন- বাংলাদেশের অখন্ডতা ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষার জন্য অবিলম্বে পার্বত্য চট্টগ্রামে বিরাজমান উপজাতি কোটা বাতিল করতে হবে। কেননা এই কোটা দিয়ে পাহাড়ে বসবাসরত জনসংখ্যার অর্ধেক বাঙালি জনগোষ্টির মেধাকে দারুনভাবে অসম্মান করা হচ্ছে। তাছাড়া উপজাতি কোটার সুযোগ পেয়ে শতকরা ৮০ ভাগ চাকমা স¤প্রদায় দেশে বিদেশে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে যারা সন্তুলারমার জনসংহতি সমিতির আদর্শ এবং উদ্দেশ্যে বাস্তবায়নে লিপ্ত আছে। বাংলাদেশকে দ্বিখন্ডিত করে পার্বত্য চট্টগ্রামকে স্বাধীন জুমল্যান্ড হিসেবে ঘোষনার জন্য উপজাতি কোটাধারীরা দেশে বিদেশে গভীর চক্রান্তে লিপ্ত। চাকমা ছাড়া অন্যান্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র   নৃ-গোষ্টি কোটার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়াতে তারাও উপজাতি কোটার সুফল পাচ্ছে না। কাজেই, দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে অবিলম্বে পার্বত্য চট্টগ্রামে বৈষম্য সৃষ্টিকারী উপজাতি কোটা বাতিল করে জনসংখ্যা এবং মেধার ভিত্তিতে পাহাড়ে বসবাসরত সকল নাগরিকের শিক্ষা, চাকুরী, ব্যবসা, বানিজ্য, ঠিকাদারী ইত্যাদিতে ভারসাম্য সৃষ্টি করার জন্য সমঅধিকার আন্দোলনের পক্ষ থেকে সরকারের প্রতি জোর দাবী জানানো হয়েছে।

বার্তা প্রেরক- প্রকৌশলী ফেরদৌস মানিক
প্রচার সম্পাদক- পার্বত্য চট্টগ্রাম সমঅধিকার আন্দোলন

পোস্ট করেন- শামীমুল আহসান, ঢাকা ব্যুরো প্রধান।