॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেছেন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে টাকা ব্যয় না করে সরকার ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে অর্থ ব্যয়ের বিষয়ে বেশি আগ্রহী। কারণ ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরী করা গেলে সেখান থেকে ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া শিখে জাতীর উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারবে। সুতরাং ধমীর্য়শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রকারান্তরে একটি উৎপাদনশীল খাত, পক্ষান্তরে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এক ধরণের অনুৎপাদনশীল খাত। তাই আমরা, বিহার-আশ্রম, মাদ্রাসা, গীতা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা পালি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণের উপর জোর দিতে চাই। মন্ত্রী বলেন, তবে পার্বত্য এলাকা পিছিয়ে পড়া অঞ্চল বলে আমরা এ এলাকার মসজিদ মন্দির গির্জা বা ক্যাং ভবন নির্মাণের বিষয়টিকে সহানুভ’তির সাথে দেখে পার্বত্য তিন জেলায় অসংখ্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে কাজ করেছি।
মন্ত্রী আরো বলেন, পাহাড়ের মানুষের কল্যাণে এবং তাদের জীবনমান উান্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রাণলয় সৃষ্টি করেছেন। এই মন্ত্রণালয়ে মাধ্যমে বর্তমানে তিন পার্বত্য জেলায় ১০ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ চলামান রয়েছে।
তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল সম্প্রদায়ের মাঝে ভাতৃত্ব বোধ জাগ্রত করাসহ পাহাড়ের ছেলে মেয়েদের সুশিক্ষা নিশ্চিত জন্য আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনানুসারে বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নির্মাণে সরকারি অর্থ ব্যয় করছি।
শুক্রবার রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে বাস্তবায়িত ১ কোটি ৭৭ লাখ টাকার ৪টি উন্নয়ন কাজ উদ্বোধনকালে মন্ত্রী এমন মন্তব্য করেন। এসময় মন্ত্রী পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নের বাস্তবায়িত কাপ্তাই নারায়নগীরি এলাকায় একটি মসজিদ, একটি বৌদ্ধ বিহার, একটি গীতা শিক্ষা ভবন ও একটি স্পোটিং ক্লাব ভবন উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী, উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল আলম চৌধুরীসহ পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য প্রশাসন ড.ইফতেকার আহমেদ, রাঙামাটি জেলা পরিষদ সদস্য অংসুই ছাইন চৌধুরী, দীপ্তিময় তালুকদার, উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তুষিত চাকমা, কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ মফিজুল হক, কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনতাসির জাহান, কাপ্তাই সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রওশন আরা রব, চন্দ্রঘোনা থানার ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরী, সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য থোয়াইচিং মং মারমা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল, ১নং চন্দ্রঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন মিলন, ২নং রাইখালী ইউপি চেয়ারম্যান মংক্য মারমা, ৩নং চিৎমরম ইউপি চেয়ারম্যান ওয়েশ্লি মং চৌধুরী, ৫নং ওয়াগ্গা ইউপি চেয়ারম্যান চিরঞ্জিৎ তনচংগাসহ গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
পার্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি এসময় আরো বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত আন্তরিক। তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতি গোষ্টীর উন্নয়নে কাজ করে গেছেন বলেই আজ জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী বিশ্ব সেরা ২য় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত হয়েছেন। এটা আমাদের জন্য বড় প্রাপ্তি।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে পার্বত্য এলাকার সর্বত্র উন্নয়ন ছড়িয়ে পড়েছে। অর্থনীতিতে অমুল পরিবর্তন হয়েছে। যে সকল স্থানে সড়ক যোগাযোগ নেই, বিদ্যুৎ নেই, সেখানে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড এর মাধ্যমে স্থানীয় বাসিন্দাদের বিনামুল্যে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন সোলার হোম সিস্টেম প্রদান করা হচ্ছে। এতে করে সুফল পাচ্ছে পাহাড়ের সাধারণ জনগণ।