পোয়াপাড়া শান্তি নিকেতন বিহারে কঠিন চীবর দানোৎসব

505

p......6

কাউখালী প্রতিনিধি, ১৯ নভেম্বর ২০১৫, দৈনিক রাঙামাটি : ধর্মীয় নানা আচার অনুষ্ঠানে মধ্য দিয়ে কাউখালীর পোয়াপাড়া শান্তি নিকেতন বৌদ্ধ বিহারে ২৫তম কঠিন চীবর দানোৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার বিহার প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত ধর্মসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচ্যভাষা বিভাগের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ভদন্ত ডঃ জিনবোধি মহাথের।

ঘিলাছড়ি পঞ্চকল্যাণ বৌদ্ধ বিহারের ভদন্ত সুমনা জ্যোতি মহাথেরর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এতে প্রধান ধর্মালোচক ছিলেন পার্বত্য ভিক্ষু সংঘের সভাপতি অগ্রজ্যোতি মহাথের। এতে ধর্মীয় উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করে শিশু শিল্পী অভিজিৎ চাকমা শুভ।সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন কঠিন চীবর দান আয়োজন কমিটির সভাপতি কনিষ্ট বড়–য়া। এসময় উপস্থিত ছিলেন কাউখালী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এ্যানী চাকমা কৃপা।

ধর্মালোচনায় সভায় বক্তারা বলেন, ধর্মের নামে যারা সন্ত্রাস করছে, ধর্মের নামে সংর্ঘষ বাড়াচ্ছে এবং সারা পৃথিবীতে মানব জাতীর মধ্যে অশান্তি সৃষ্টি করছে তারা কোন দিন নির্বাণ লাভ করতে পারবে না। কারণ ক্ষমা ও মৈত্রী ভাব যার আছে সে জ্ঞানী। আর জ্ঞানী ব্যক্তি হিংসা ও সংঘর্ষ থেকে দূরে থাকে। তাই পঞ্চশীল গ্রহণ করে বুদ্ধের বাণীগুলো যথাযথ ভাবে অনুসরণ করে সংঘাত পরিহার করে মৈত্রী ভাবনা চর্চা করার আহবান জানান।

সঠিকভাবে ধর্ম চর্চা আর ধর্মের প্রতি অবিচল বিশ্বাস রেখে আর্থিক উন্নয়ন ঘটাতে হবে উল্লেখ করে বক্তারা  বলেন, আমরা যদি ঠিক না থাকি তা হলে এই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো ঠিক থাকবে না। ধর্মীয় আচার, আচরণ ও রীতিনীতি যদি ঠিক রাখি তাহলে আমাদের সামাজিকতা সুদৃঢ় হবে এবং সমাজে শান্তি ফিরে আসবে। গৌতম বুদ্ধের শিক্ষা ও আদর্শের প্রতি সকলকে আদর্শবান হয়ে মিথ্যাকে পরিহার করে সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে যেতে হবে। তা হলেই পার্বত্যাঞ্চলে উন্নয়ন ও শান্তি ফিরে আসবে।

এর আগে কঠিন চীবর দান উপলক্ষে পোয়াপাড়া শান্তি নিকেতন বৌদ্ধ বিহারে ভোর থেকে কর্মসূচির সূচনা করা হয়। ভোরে প্রার্থনা ও সূত্র পাঠের মাধ্যমে উৎসবের কর্মসূচি শুরু হয়। কর্মসূচির মধ্যে ছিল ভোর ৪টায় পরিত্রাণ পাঠ, সকালে পুষ্পপূজা ও ভিক্ষুসংঘের প্রাতঃরাশ, জাতীয় পতাকা ও ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন, বুদ্ধপূজা, শীলগ্রহন, উপগোপ্ত বৌদ্ধের বৌদ্ধমূর্তিদান, সংঘদান ও ভিক্ষুসংঘের ধর্মদেশনা, অনুত্তর পুণ্যক্ষেত্র ভিক্ষুসংঘকে পিন্ডদান।

পোস্ট করেন- শামীমুল আহসান, ঢাকা ব্যুরোপ্রধান