॥ ইকবাল হোসেন ॥
রাঙামাটি পৌরসভা নির্বাচনে ৯নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে লড়ছেন ৬জন প্রার্থী তারা হলেন- বর্তমান কাউন্সিলর বিল্লাল হোসেন টিটু, বিদ্যুৎ আলো চাকমা, সন্তোস কুমার চাকমা, নুরুল আলম, রেজাউল করিম মিন্টু, চন্দ্রজিত দেওয়ান। সকল প্রার্থীদের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে তারা প্রতিবেদকের সাথে তাদের প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলাপ করেছেন।
বিল্লাল হোসেন টিটুঃ (প্রতীক-পাঞ্জাবী)
৯নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর বিল্লাল হোসেন টিটু যিনি এবার পাঞ্জাবী প্রতীকে নির্বাচন করছেন তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন- আমাকে আবার ৯নং ওয়ার্ডের জনসাধারণ তাদের সেবা করার সুযোগ দিলে সরকারি সকল সুযোগ সুবিধা জনগণের দ্বারপ্রান্তে পৌছে দিব এবং সরকারি সকল ভাতা যোগ্যতা অনুসারে বন্টন নিশ্চিত করবো। এলাকার সকল উন্নয়ন মূলক কাজ রাস্তা-ঘাট, কালভার্ড ইত্যাদির কাজ সম্পন্ন করবো। অসহায় দরিদ্র জনগোষ্ঠির জনসাধারণের বাচ্চাদের স্কুল/কলেজে পড়ালেখার খরচ যোগাতে সরকারি ও ব্যক্তিগতভাবে সহযোগিতা করব। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও লাইটিং ব্যবস্থা যতদূর আছে তা বৃদ্ধি করব। এর পাশাপাশি যে যে স্থানে সড়কবাতি নেই সেসব স্থানে সড়কবাতি স্থাপন নিশ্চিত করব।
বিদ্যুৎ আলো চাকমাঃ (প্রতীক- ডালিম)
এবিষয়ে বিদ্যুৎ আলো চাকমা বলেন- আমি নির্বাচিত হলে সকল পৌর নাগরিক সুবিধা সুষম বন্টন করবো এবং এলাকার সামগ্রিক উন্নয়ন সাধন করবো। আমি প্রত্যক পাড়া-মহল্লায় সৎ, যোগ্য এবং মুরব্বিদের নিয়ে একটি করে ওয়ার্ড কাউন্সিলর উপদেষ্টা কমিটি গঠন করবো। কলেজ গেইড যেহেতু আমার ওয়ার্ডের মধ্যস্থান, তাই আমার ওয়ার্ডের নাগরিকদের সুবিধার্থে সেখানে হবে কাউন্সিলর কার্যালয় এবং অভিযোগ বাক্স স্থাপন। রাস্তাঘাট, কালভার্ড, সেতু, পানীয় জলের ব্যবস্থা যেখানে প্রয়োজন তা যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে প্রয়োজনে মন্ত্রণালয় পর্যন্ত গিয়ে তা অনুমোদন করে কার্যকর করার ব্যবস্থা করা যাতে আমার এলাকার জনগণ তার সুফল ভোগ করতে পারে। আমার ওয়ার্ডের প্রত্যেক বাড়ির পৌর হোল্ডিং এর সাথে আমি একটি কাউন্সিলর হোল্ডিং কার্ড সংযোজন করবো যাতে আমার সাথে প্রত্যেক ওয়ার্ডবাসীর পরিচিতি ও যোগাযোগ অটুট থাকে। বৈদ্যুতিক সু-ব্যবস্থা, ডাস্টবিন সু-ব্যবস্থা, ইত্যাদি যাতে সকলের দোরগোড়ায় আসে আমি সেই ব্যবস্থা নেব। তবে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পাবে স্যানিটেশন ব্যবস্থা। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে পশ্চাদপদ জনগোষ্ঠির অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, বাসস্থান ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে পাড়া-মহল্লায় গঠিত সকল কমিটি নিয়ে বৈঠকের পর তাদের উপযুক্ত চাহিদা পূরণের ব্যবস্থা করবো।
সন্তোস কুমার চাকমাঃ (প্রতীক- টেবিল ল্যাম্প)
নির্বাচন বিষয়ে সন্তোস কুমার চাকমা বলেন, আমি নির্বাচিত হলে আমার ওয়ার্ডের যেসব এলাকায় পৌরসভায় উন্নয়ন হয়নি অগ্রাধিকার ভিত্তেতে সেসকল এলাকায় উন্নয়ন করা। এছাড়াও পৌরসভার সকল সাহায্য সহযোগিতা আমি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সকলের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিব।
মো. নূরুল আলমঃ (গাজর)
এবিষয়ে তিনি বলেন- পৌরসভার নাগরিক হিসেবে সকলের প্রধান এবং প্রথম অধিকার হলো পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা ও লাইটিং শতভাগ পাওয়া। আমি অতীতেও এ বিষয়ে সোচ্চার ছিলাম এবং আমি যদি নির্বাচিত হই তাহলে এ বিষয়টি আরো জোরদার করবো। ওয়ার্ডের রাস্তা-ঘাট ও ড্রেন কাম কালভার্ড গুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আমি যত দ্রুত সম্ভব সম্পন্ন করবো। পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা ও লাইটিং এর বিষয়ে আমি আরো গুরুত্বারোপ করব। সরকারি সকল সহযোগিতা সুষমভাবে বন্টন করবো।
রেজাউল করিম মিন্টুঃ (প্রতীক- ব্লাক বোর্ড)
রেজাউল করিম মিন্টু বলেন আমি নির্বাচিত হলে- আমার প্রথম কাজ হবে- অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় উন্নয়ন সম্পন্ন করা। পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা ও লাইটিং শতভাগ নিশ্চিত করা। আর আমি নির্বাচিত হলে আরেকটি কাজ করবো তা হলো- আমাদের শালিশ আমরাই করবো। আর রাজনৈতিক স্থিতিশীল সমাজ গড়ব।
চন্দ্রজিৎ দেওয়ান (আনন)ঃ (প্রতীক-উটপাখি)
এবিষয়ে তিনি বলেন, সকল প্রার্থীদের একটা দূর্ণাম আছে- তারা ভোটের সময় জনগণের কাছে যায় কিন্তু নির্বাচিত হওয়ার পর আর তাদের খোঁজখবর রাখেনা ভুলে যায়। আমার ক্ষেত্রে এঘটনা ঘটবে না। আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে তাদের কাছে যাব। আর কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হলে তো জনগণের পাশেই থাকব। আর নির্বাচিত হলে- আমার ওয়ার্ডের বর্তমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবো। সাম্প্রদায়িত সম্পৃতি বজায় রেখে জকাজ করে যাব। আর তরুণ হিসেবে প্রবীণদের অভিজ্ঞতা ও বুদ্ধি পরামর্শে আমার অঙ্গিকার বাস্তবায়ন করবো। আর আমি নির্বাচিত হই বা না হই, আমার ওয়ার্ডে যাতে সাম্প্রদায়িক সম্পৃতি বজায় থাকে সেজন্য আমি আমার পক্ষ থেকে যা করণীয় তা করে যাব।