প্রবারণা পূর্ণিমা ঘিরে বৌদ্ধ তরুণদের সংগঠন ত্রিচৈত্য’র নানা আয়োজন।

505

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥
রাঙামাটির বৌদ্ধ তরুণদের নিয়ে গঠিত অন্যতম ধর্মীয়, সামাজিক এবং সেচ্ছাসেবী সংগঠন “ত্রিচৈত্য-Trichaitya” এর  উদ্যোগে প্রবারণা পূর্ণিমা ও ফানুস বাতি প্রজ্জলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার সাকলে শহরের আসামবস্তি এলাকার বুদ্ধাংকুর বৌদ্ধ বিহারে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় এই উৎসব পালন করা হয়।

IMG-20221009-WA0017

রাঙামাটি বড়ুয়া জনকল্যাণ সংস্থা ও রাঙামাটি বুদ্ধাংকুর বৌদ্ধ বিহার পরিচালনা কমিটি কর্তৃক আয়োজিত এই পূণ্য অনুষ্ঠানে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করে রাঙামাটির বৌদ্ধ তারুণদের অন্যতম সংগঠন “ত্রিচৈত্য-Trichaitya”

IMG-20221009-WA0007

অনুষ্ঠানের শুরুতেই বুদ্ধাংকুর বৌদ্ধ বিহারের বিহারাধ্যক্ষ ভদন্ত করুণাপাল ভিক্ষু, রাঙামাটি বড়ুয়া জনকল্যাণ সংস্থা ও বুদ্ধাংকুর বৌদ্ধ বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি শিক্ষক সনৎ কুমার বড়ুয়া এবং সাধারণ সম্পাদক উদয়ন বড়ুয়াকে “ত্রিচৈত্য-Trichaitya” সংগঠনের পক্ষ থেকে “সম্মাননা স্মারক ও ক্রেস্ট” প্রদান করা হয়।

IMG-20221009-WA0000

রাঙামাটি বড়ুয়া জনকল্যান সংস্থা ও বুদ্ধাংকুর বৌদ্ধ বিহার পরিচালনা কমিটির প্রধান উপদেষ্টা বীর মুক্তিযুদ্ধা ড: সুপ্রিয় বড়ুয়াকে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়।

“ত্রিচৈত্য-Trichaitya” সংগঠনের সিনিয়র সদস্য বিশাল চৌধুরী সানি তার বক্তব্যে, সকলকেই শুভ প্রবারণা পূণিমার শুভেচ্ছা জানান এবং রাঙামাটির বৌদ্ধ তরুণদের নিয়ে গঠিত এই সংগঠন ধর্মীয় কাজের পাশাপাশি সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষদের পাশে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করে যাবে বলে অঙ্গীকার করেন। তিনি তার সংগঠনের জন্য উপস্থিত সকল দায়ক-দায়িকা ও বৌদ্ধ সমাজের সিনিয়র নেতাদের সহযোগিতার পাশাপাশি তাদের সংগঠনের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করতে আহ্বান জানান।

IMG-20221009-WA0019

অনুষ্ঠানে “ত্রিচৈত্য-Trichaitya” পরিবারের সদস্যদের মধ্যে- বিজয় বড়ুয়া, আকাশ বড়ুয়া, উৎপল বড়ুয়া, বিপ্লব বড়ুয়া, মোহিনী বড়ুয়া, পাপড়ি বড়ুয়া, বৃষ্টি বড়ুয়া, আতশী বড়ুয়া, চৈতি বড়ুয়া, সনজিব বড়ুয়া, জয় বড়ুয়া, তন্ময় বড়ুয়া, সৌরভ বড়ুয়া, পবন বড়ুয়া, প্রাণেষ বড়ুয়া, অতনু বড়ুয়া, অনুরাগ বড়ুয়া, মাঙ্গিয়া ম্রো, অর্ক বড়ুয়া, তুর্জ বড়ুয়া, দীপ্ত বড়ুয়া সহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

IMG-20221009-WA0006
সকালের বুদ্ধ পূজা, শীলগ্রহণ, ধর্মদেশনা আর সন্ধ্যা বেলার প্রদীপ পূজা এবং ফানুস উত্তোলনের মধ্যদিয়ে দিনব্যাপির এই পূন্য অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।