বান্দরবান প্রতিনিধি
বান্দরবানের প্রকৃতি ধ্বংসকারী কিছু অসাধু ব্যবসায়ী প্রতিনিয়ত খাল, ঝিরি-ঝর্ণা থেকে বালুর উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। ফলে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার হুমকির মুখে পড়েছে এই বালু ঘাটের পার্শ্ববর্তী ফসলি জমি ও বসতিঘর। তাছাড়া এসব কাজের কারণে দিন দিন হারিয়ে যায় প্রাকৃতিক বৈষম্য। এই চক্রটি এলাকা প্রভাব খাতিয়ে প্রশাসনের চোখকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে, বেশ কয়েকজন জড়িত রয়েছে এসব প্রাকৃতিক ধ্বসকারীরা।
অভিযোগ ভিত্তিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সদর উপজেলার চড়ুই পাড়া এলাকা পাশ্ববর্তী খালের ওপর মেশিন বসিয়ে বিশাল জায়গা জুড়ে বালু মজুদ করে রাখছে। দফায় দফায় এই অবৈধ বালি তুলছেন ইমরান নামের চলছে ব্যক্তিদের সিন্ডিকেট। তিনি একসময় বিএনপি’র রাজনৈতিক সাথে ছত্রছায়া ছিলেন এবং অত্র এলাকা নেতা হিসেবে পরিচিত। তার ক্ষমতা জোড়ে সে বালুর তোলার কারণের চড়ুই খালের পানি স্তর নিচে নেমে গিয়ে হারিয়ে গেছে পানির আদ্রতাও। হুমকি মুখে পড়েছে ওই এলাকা জীব-বৈচিত্র্য। প্রশাসনের কোন ছাড়পত্র কিংবা অনুমতি ছাড়া কিভাবে বালু তুলছেন পরিবেশে ধ্বংসকারী মহল প্রশ্ন থেকেই গেল অত্র এলাকা সচেতন জনসাধারণে!
স্থানীয়ারা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন এই প্রতিবেদকে জানান, খালের বালু উত্তোলন বিষয়টি জানলেও মুখ খুলতে ভয় পান তারা। কারণ তিনি ওই এলাকা প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার ইন্ধনে তার চলাফেরা। এই জন্য তার এসব কাজে কেউ বাধা দিতে অপরাগত প্রকাশ করেন। এসব প্রভাব দেখিয়ে দিন দিন বেপরোয়া ভাবে এসব অনৈতিক কাজ করে যাচ্ছে। বালু উত্তোলন ব্যাপারে ইমরান সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, নদীর খাল থেকেই বালি তুলছি না। নদীর কিণারে চর থেকে বালু নিচ্ছি।
প্রশাসনে অনুমতি আছে কি-না এমনই প্রশ্ন করা হলে, কথাগুলি এড়িয়ে গিয়ে ফোনটি কেটে দেন। পরে একাধিক বার ফোন করলেও সাড়া মেলেনি।
জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে সরেজমিনে গিয়ে অবৈধ বালুর উত্তোলণ সত্যতা পাওয়ার ইমরান নামের সে ব্যক্তিকে পরিবেশ অধিদপ্তরের ৬ লক্ষ টাকা জরিমানা প্রদান করা হয়। বিভাগীয় নির্দেশনায় ইমরানসহ কয়েকজন জড়িতদের বিরুদ্ধে বান্দরবান সদর থানায় একটি মামলার দায়ে করা হয়েছে। সেটি কয়েকদিন মধ্যে কার্যকর হবে বলেও জানা গেছে।
কুহালং ইউপি চেয়ারম্যান মংপু মারমা বলেন, ইমরান নামে এক ব্যক্তি দফায় দফায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করেছে। প্রশাসন তাকে সতর্ক করলেও সে শোনেনি।
এ ব্যাপারে জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরে সহকারী পরিচালক ফখর উদ্দিন জানিয়েছে, চড়ুই পাড়া বালু উত্তোলণকারীদের নামের একাধিক মামলা রুজু আছে। তাদের বিরুদ্ধে খুব শীঘ্রই বিভাগীয়ভাবে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।