বাল্য বিবাহ রোধ ও শিশুর প্রতি সহিংসতা বন্ধে সচেতনতা জরুরী

272

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥

রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেছেন, শিশুর প্রতি সংহিসতা একটি সামাজিক ব্যধি আর বাল্য বিবাহ আমাদের সমাজের অসচেতনতার কুফল। তাই বাল্য বিবাহ রোধ ও শিশুর প্রতি সহিংসতা বন্ধে সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে সচেতন করতে হবে এবং সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে তুলনামূলকভাবে বাল্যবিবাহ কমলেও পাহাড়ে নানা কারণে এ আশঙ্কা রয়েই গেছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য দরকার সমাজের মানুষদের মনমানসিকতার পরিবর্তন। তিনি বাল্য বিবাহের সংবাদ জানামাত্র তা প্রশাসনের গোচরে আনার আহ্বান জানান।

বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) সকালে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা এবং বাল্য বিবাহ রোধ বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রাঙামাটি জেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর রাঙামাটি আয়োজিত মতবিনিময় সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ মামুন, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার সদর সদর সার্কেল মোঃ জাহিদুল ইসলাম, রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমা বিনতে আমিন, জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ পরিচালক হোসনে আরা বেগম, রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হক, প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও প্রবীন সাংবাদিক সুনীল কান্তি দে, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য নিরুপা দেওয়ান, রাঙামাটি সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন ইসলাম।

রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান আরো বলেন, বাল্যবিবাহের কারণে কিশোরী মায়েরা কম ওজন এবং অপুষ্ট শিশু জন্ম দেন আর কিশোরী বয়সে বিয়ে হওয়ার কারণে তাদের পড়াশুনা ছেড়ে দিতে হয়। পরবর্তীতে তারা কর্মক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ে নারীর ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখার ক্ষেত্রেও পিছিয়ে পড়ে এই মায়েরা। আর নিজ গৃহে নির্যাতনের শিকার হন অর্থনৈতিক ও সামাজিক এবং পারিবারিক ভাবে তাদের সম্ভাবনার মৃত্যু ঘটে। তাই আমরা যারা এই সমাজের বিভিন্ন দায়িত্বে আছি সবাই যদি বাল্য বিবাহ প্রতিরোধের বিষয়ে ভূমিকা রাখি বা জনসচেতনা তৈরী করি তা হলে বাল্য বিবাহের প্রবনতা সেটা কমে আসবে।

এসময় সভায় রাঙামাটি পৌর কাউন্সিল, মসজিদের ইমাম, বিবাহ রেজিস্ট্রাররাসহ সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন কর্মকর্তা, সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। পরে সভায় রাঙামাটিতে বাল্য বিবাহ রোধে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।