বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বেঁধে দেয়া ৪৮-৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটামের পরও যেসব বিবাহিত ছাত্রলীগ নেতারা এখনো পদত্যাগ করেনি তাদের সেচ্ছায় অতি দ্রুত স্বেচ্ছায় পদত্যাগে আল্টিমেটাম দিয়েছে রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল জব্বার সুজন। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল জব্বার সুজন ব্যক্তিগত কাজে ভারত থেকে ফিরে এ কথা জানান।
গত ১২ জুলাই ছাত্রলীগের যেকোনো ইউনিটে পদধারী বিবাহিত নেতাকর্মীদের স্বেচ্ছায় পদত্যাগের নির্দেশ দেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন। এ জন্য তাঁরা ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা সময়ও বেঁধে দেন। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের আল্টিমেটামের পর এখন পর্যন্ত রাঙামাটি জেলায় ওই তিনদিনের আল্টিমেটামের মধ্যেই পদত্যাগ করেন আটজন নেতা-কর্মী। তারা হলেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি রেজাউল করিম, সহসভাপতি রাকিব হাসান, সহসভাপতি তৈয়ব আলী, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মো. হানিফ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জাহিদ, উপ-দপ্তর সম্পাদক আবু মুছা, উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. আজগর আলী এবং সিনিয়র সদস্য মো. পারভেজ ভূঁইয়া।
পদত্যাগ করা নেতাদের অভিযোগ, একই নির্দেশ অমান্য করে স্বপদে বহাল আছেন সদও ও উপজেলা ছাত্রলীগের অনেকে। অতি দ্রুত তাদের প্রতি সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ জানান রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের নেতাদের প্রতি । তবে রাঙামাটি জেলায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বেঁধে দেয়া ৭২ ঘণ্টা পার হলেও আট জন ছাড়া নতুন করে আর কোনো বিবাহিত ছাত্রলীগ পদত্যাগ করেনি। শুধু তাই নয়, পদ ধরে রাখতে নিজেদের বিয়ের কথাও গোপন রাখছেন তারা। দায়িত্বশীল নেতারা বিষয়টি জানলেও অনুসারী বা সমর্থক হারানোর ভয়ে প্রকাশ করছেন না এসব তথ্য।
তবে বিবাহিতদের কমিটি থেকে পদত্যাগে কেন্দ্রের নির্দেশনা নিয়ে তাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের একাধিক সূত্র জানায়, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশনা যদি কেউ না মানে, তবে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ আমাদেরকে এই বিষয়ে যে নির্দেশনা দেবে সেই অনুসারেই আমরা সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিব। বিবাহিত যারা এখনো পদ ধরে রেখেছে আমরা বিষয়গুলোর খোঁজখবর রাখছি।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির জরুরি বৈঠকে বিবাহিতদের ছাত্রলীগ থেকে ৪৮-৭২ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়।