ঢাকা ব্যুরো অফিস, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৫, দৈনিক রাঙামাটি : সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য বিএনপি চেয়ারপারন বলেন, যারা বেইমানী করেছেন, তাদের চিহ্নিত করে রাখুন। এসব দালাল, বেইমান, মীরজাফরেরা বেশিদিন টিকে থাকে না। রোববার দুপুরে রাজধানীর সুপ্রীম কোর্ট বার এসোসিয়েশনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের দ্বিবার্ষিক কাউন্সিল ও নির্বাচন অনুষ্ঠানে একথা বলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ও রকিব মার্কা নির্বাচন জনগণ গ্রহন করে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। রোববার দুপুরে রাজধানীর সুপ্রীম কোর্ট বার এসোসিয়েশনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের দ্বিবার্ষিক কাউন্সিল ও নির্বাচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। খালেদা জিয়া বলেন, হাসিনা ও নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে সব সময়েই ব্যর্থ। তৃতীয় বাবেরর মত প্রমান হবে আওয়ামী লীগের অধীনে কোন নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না। ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার আহবান জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, আমরা জানি ধানের শীষের বিজয় হবেই হবে। যখনই নির্বাচন এসেছে তখনই বাংলাদেশের মানুষ ধানের শীষকে বিজয়ী করেছে। একারনেই সরকারের ভয় বিএনপি যেন নির্বাচনে আসতে না পারে। তার জন্য যত রকমের কৌশল আছে তারা অবলম্বন করছে। এবার সরকার কৌশলে ভুল করেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, তারা ধরে নিয়েছিল বিএনপি নির্বাচনে আসবে না।
কিন্তু বিএনপি নির্বাচনে এসে প্রমান করেছে বিএনপি নির্বাচনী দল এবং নির্বাচন করতে চায়। সকলের অংশগ্রহনে নিরপেক্ষ সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনে বিশ্বাস করে বিএনপি। বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, বলা হচ্ছে সাংবাদিকেরা নাকি ভোট কেন্দ্রে থাকতে পারবে না। যদি সেটাই হয় তাহলে লক্ষ্য অত্যান্ত পরিস্কার। সাংবাদিকদের থাকতে দেওয়া হচ্ছে না ভোট চুরি করার জন্য। সেই জন্য সাংবাদিকদের ভোটে কেন্দ্রে থাকতে হবে। ভোটে কেন্দ্রের মধ্যে সত্যিকার কি হচ্ছে তা তুলে ধরবেন।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য বিএনপি চেয়ারপারন বলেন, যারা বেইমানী করেছেন, তাদের চিহ্নিত করে রাখুন। এসব দালাল, বেইমান, মীরজাফরেরা বেশিদিন টিকে থাকে না। এদের পরিনতি শেষ পর্যন্ত ভয়াবহ হয়। তাই বলবো বেইমানী করে কোন লাভ হবে না। আমি কোন সময়ে বেইমানদের সঙ্গে হাত মিলাইনি। ভবিষতেও হাত মেলাবো না। ৬০ বছরের ঐতিহ্যবাহী জাতীয় প্রেস ক্লাবকে অত্যান্ত ন্যাক্কারজনক ভাবে দখল করা হয়ে বলে মন্তব্য করেছেন খালেদা জিয়া।
বিএফইউজের (বিএনপি অংশের একাংশ) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম আব্দুলাহর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, সাংবাদিক নেতা এম এ আজিজ, রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, সৈয়দ আবদাল আহমেদ, রুহুল আমিন গাজী, কবি আব্দুল হাই শিকদার, জাহাঙ্গীর আলম প্রধানসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত সাংবাদিকরা। এছাড়াও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, আব্দুল মান্নান, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সহ আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য সৈয়দা আশরাফী আশরাফ পাপিয়া প্রমুখ।
সম্পাদনা- শামীমুল আহসান, ঢাকা ব্যুরোপ্রধান