তিন পার্বত্য জেলা ম্যালেরিয়া রোগের জন্য অধিক ঝুকিপূর্ণ, তাই এখানে বিশেষ পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে হবে কারণ আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ম্যালেরিয়া মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার জন্য বিশেষ কর্ম পকিল্পনা বাস্তবায়নের কাজ শুরু করছে সরকার। ম্যালেরিয়া রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি আওতায় রাঙামাটি জেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠিত অবহিত করন সভায় এই তথ্য জানানো হয়।
গত শনিবার রাঙামাটিতে উচ্চ ম্যালেরিয়া প্রবন মৌসুমে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য জেলা পর্যায়ে স্টক হোল্ডারদের নিয়ে এই এ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে মালেরিয়া রোগ নির্মূল কর্মূচীর আওতায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এই সভার আয়োজন করে।
সভায় আরো জানানো হয়, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ম্যালেরিয়া মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তিন পার্বত্য জেলা সহ দেশের ম্যালেরিয়া প্রবণ ১৩টি জেলায় ম্যালেরিয়া রোগ নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূলে বিশেষ কর্ম কৌশল নির্ধারন করে তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। গ্লেবাল ফান্ডের অর্থায়নে বাংলাদেশ সরকার স্বাস্থ্য বিভাগ এবং সহযোগী এনজিও সংস্থার সহযোগিতায় এই কর্মসূচী বাস্তায়ন করা হচ্ছে। কর্মসূচীর বিনামূল্যে ম্যালেরিয়া রোগ নিরুপন ও চিকিৎসা প্রদান করা হবে।
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। রাঙ্গামাটির সিভিল সার্জন ডাঃ শহীদ তালুকদারের সভাপতিতে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডাঃ শেখ মোঃ আব্দুস সামাদ, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ) রাঙ্গামাটির সভাপতি ডাঃ স্নেহ কুমার চাকমা, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী রুমা রাঙ্গামাটির এএমসি ক্যাপ্টেন ডাঃ সোনিয়া চক্রবর্ত্তী, বাংলাদেশ বেতার রাঙ্গামাটি কেন্দ্রের আঞ্চলিক পরিচালক মোঃ ছালাউদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুহুল আমিন সিদ্দীকি বক্তব্য রাখেন। স্বাগত বক্তব্য দেন রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ বিনোদ শেখর চাকমা। সভায় মুক্ত আলোচনা পরিচালনা করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল কর্মসূচীর এক্সপার্ট ডাঃ মোঃ নজরুল ইসলাম।
সভায় বাংলাদেশের ম্যালেরিয়ার বর্তমান পরিস্থিতি এবং ম্যালেরিয়া রোগ নির্মূলে সরকারের পরিকল্পনা বিষয়ক মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ম্যালেরিয়া নির্মূল কর্মসূচীর ডিপিএম ডাঃ এম এম আক্তারুজ্জামান।
সভায় আরো জানানো হয় বাংলাদেশের ১কোটি ৭০লক্ষ লোক ম্যালেয়িরার ঝুকিতে রয়েছে। ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে শতকরা ৯৩ভাগ রোগী তিন পার্বত্য জেলায় বসবাস করছে। এর মধ্যে বান্দরবান পার্বত্য জেলা ম্যালেয়িরায় জন্য সর্বাধিক ঝুকিপূর্ণ এলাকা এবং রাঙ্গামাটির অবস্থান দ্বিতীয়। তাই ম্যালেরিযা নির্মূল পরিকল্পনায় তিন পার্বত্য জেলার জন্য বিশেষ ভাবে পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। সভায় জানানো হয় বর্তমান সময় ম্যালেরিয়া রোগ বিস্তারের জন্য পিগ পিরিয়ড বিধায় এই সময় এই রোগ নিরুপন এবং চিকিৎসার ব্যাপারে সর্বোচ্য অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে।
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার স্বাস্থ্য বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশের প্রতিনিধি, সাংবাদিক এবং এনজিও কর্মী’সহ প্রায় ২শতাধিক স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এই অবহিত করন সভায় অংশ নেন।