মৎস্য সপ্তাহ ঘিরে রাঙামাটিতে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়

368

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥

‘বেশি বেশি মাছ চাষ করি, বেকারত্ব দূর করি’ এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে শনিবার (২৮ আগষ্ট) থেকে শুরু হয়েছে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ। রাঙামাটিতে এ সপ্তাহ উপলক্ষে কর্মসূচির প্রথম দিনেই সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। এ সময় কাপ্তাই হ্রদের মৎস্য উৎপাদন ব্যবস্থাপনা, জলবায়ু পরিস্থিতি এবং জেলা বিভিন্ন পর্যায়ের মাছ চাষ বিষয়ে পৃথক পৃথক চারটি পেজেন্টশন প্রদান করে কর্মকর্তারা। পরে এর উপর প্রশ্নোত্তর পর্বে জ্যেলায় মাছ চাষের বিভিন্ন বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়।

শনিবার (২৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টায় রাঙামাটি জেলা মৎস্য দপ্তরের আয়োজনে ও বিএফডিসি, বিএফআরআই, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের মৎস্য সম্পাদক উন্নয়ন প্রকল্পের সহযোগিতায় রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের এনেক্স ভবনে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

পাহাড়ী জলাশয়ে মৎস্য সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোঃ ইয়াছিনের সভাপতিত্বে ও জেলা মৎস্য অফিসের সিনিয়র সরকারী পরিচালক মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন, রাঙামাটি জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ, বিএফডিসির ব্যবস্থাপক নৌ কমান্ডার মোঃ তৌহিদুল ইসলাম, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ আজাহার আলী প্রমূখ।

এসময় বিএফডিসি, বিএফআরআই এর কর্মকতারা জানান, কাপ্তাই হ্রদে মাছের বংশ বৃদ্ধিসহ যেসব মাছ হ্রদ থেকে দিন দিন বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে তার পূর্ণ উদ্ধারসহ কাপ্তাই হ্রদে ড্রেজিং ও মৎস্যজীবিদের সঠিক মাপে হ্রদে মাছের জাল ব্যবহার ও মাছের প্রজনন বৃদ্ধি ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করা হয়। অন্যদিকে হ্রদের মাছের গবেষণার ইনস্টিটিউট কাপ্তাই হ্রদে বিলুপ্ত প্রায় মাছের প্রজাতিগুলো ফের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা কথা জানান।

কর্মকর্তারা আরো বলেন, কাপ্তাই হ্রদে মাছের অভয়ারণ্য ব্যাপক সৃষ্টির করতে হবে। যাতে করে মাছের বংশ বিস্তার করা যায়। আর প্রতি বছর কেবল তিন মাস নয়, প্রয়োজন বোধে মাছ আহরণের নিষেধাজ্ঞার সময় বাড়ানো যেতে পারে। এছাড়া জেলেরা যাতে পোনা মাছ ধ্বংস করতে না পারে সে ব্যাপারে বিএফডিসি ব্যাপক ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা চাই আগের মত, কাপ্তাই হ্রদে বড় মাছের সংখ্যা বাড়ুক এবং মাছের বংশ বিস্তার হোক। এ ছাড়া জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে রাঙ্গামাটির অন্যান্য উপজেলাতেও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।