॥ দীপ্ত হান্নান ॥
রাঙামাটিতে আইনানুগভাবে বিবাহ অনুষ্ঠান নিশ্চিতকরণ বিষয়ে অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গর্ভনেন্স ইনোভেশন ইউনিটের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) আবদুল হালিম বলেন, আগামী প্রজন্মের সুস্থভাবে বেড়ে উঠা এবং সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতেও বাল্য বিবাহ একটি বড় বাধা। বাল্যবিবাহ সমাজের একটি অভিশাপ। বাল্য বিবাহের উদ্বেগজনক পরিনতি যেহেতু পরিবার, সমাজ তথা রাষ্ট্রর জন্য ক্ষতিকর সেহেতু এটি অবশ্যই বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।এজন্য জনসাধারণকে এ ব্যাপারে সচেতন পূর্বক সম্পৃত্ত করতে হবে।
সোমবার সকালে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান এর সভাপতিত্বে অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গর্ভনেন্স ইনোভেশন ইউনিটের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) আবদুল হালিম এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, রাঙামাটি জেলায় বাল্য বিবাহ শুন্যের কোঠায় নিয়ে আসার জন্য ভ্রাম্যমান আদালতকে আরও জোরদার করার নিদের্শ দেন। সেই সঙ্গে তিনি বাল্য বিবাহ রোধে নিকাহ রেজিস্টার, হিন্দু বিবাহ নিবন্ধক, পুরোহিত, ইমাম, মাওলানাদের কঠোর ভূমিকা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
তিনি আরো জানান, কোর্ট ম্যারেজের নামে কোনো বিবাহ-তালাকের আইনগত ভিত্তি নেই। জেলা রেজিস্টারের স্বাক্ষর ছাড়া কোনো বালাম বই গ্রহণযোগ্য নয় বলে উল্লেখ করা হয়।
জেলা প্রশাসক মানজারুল মান্নান বলেন, কোন অবস্থাতেই বাল্য বিবাহের পক্ষে যাওয়া যাবে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ২০২১ সালের আগেই রাঙামাটি জেলায় বাল্য বিবাহের হার শুন্যের কোটায় নামিয়ে আনা হবে।
পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান বলেন, সামাজিক সচেতনতাই পারে বাল্য বিবাহ রোধ করতে। বাল্য বিবাহ কোনভাবেই কাম্য নয়। আইনী ঝামেলা এড়ানোর জন্য বাল্য বিবাহ থেকে দুরে থাকতে সকলের প্রতি অনুরোধ জানান।
অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবু শাহেদ চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোয়াজ্জম হোসাইনসহ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পৌর কাউন্সিলর, নোটারী পাবলিক, এনজিও প্রতিনিধি, সাংবাদিক, উকিল, কাজী ও পুরোহিতগণ।