॥ সোহরাওয়ার্দি সাব্বির ॥
শুক্রবার বিকেলে রাঙামাটি ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট হল রুমে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের আয়োজনে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মোর্শেদা আক্তার এর সভাপতিত্বে পার্বত্য চট্টগ্রামে বিরাজমান পরিস্থিতি ও নারী সমাজের করনীয় শীর্ষক আলোচনা সভা ও মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী মজিবুর রহমান।
অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব মোঃ আলমগীর কবির, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের জেলা কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ শাব্বির আহম্মেদ, জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সোলাইমান, জেলা কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ কাজী জালোয়া, জেলা কমিটির অর্থ-সম্পাদক মোঃ ইব্রাহিম জেলা কমিটির প্রচার সম্পাদক হুমায়ুন কবিরসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের মহিলা কর্মীগণ।
এসময় বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল নিয়ে বরাবরই শঙ্কিত এ দেশের সচেতন মহল। পাহাড়ি সন্ত্রাসীগ্রুপ এবং পশ্চিমা বিভিন্ন এনজিও সংস্থার যোগসাজশে পাহাড়ি এ এলাকায় স্বাধীন একটি ভূখন্ড নির্মাণের তৎপরতার কথা কারোরই অজানা নয়। জুমল্যান্ড নামে এ ভূখন্ডকে স্বাধীন করার জন্য বিদেশী সহায়তায় সরবে ও নীরবে কাজ করে যাচ্ছে শক্তিশালী একটি গ্রুপ।
পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় ‘জুমল্যান্ড’ নামে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য এক বা একাধিক গোষ্ঠী তৎপর রয়েছে। বিভিন্ন সময় তারা ‘জুমল্যান্ড’ প্রতিষ্ঠায় সমর্থন চেয়ে দূতাবাসগুলোতে বার্তাও পাঠিয়েছে। এমনকি ‘জুমল্যান্ড টিভি’ নামে টুইটার অ্যাকাউন্ট ছাড়াও অনলাইনে এই নামে ব্যাপক তৎপরতা রয়েছে।
বক্তারা আরো বলেন শান্তিচুক্তির আগে এ ধরনের গোষ্ঠীর বেশ তৎপরতা ছিল। এখনো এ দেশের পার্বত্য এলাকা নিয়ে দেশি-বিদেশি অনেক ষড়যন্ত্র আছে। অনেক দেশ ও তাদের বেসরকারি সংস্থাগুলোর (এনজিও) তৎপরতাও বেশ সন্দেহজনক। সরকারকে এ বিষয়ে তৎপর হওয়া প্রয়োজন।
পরিস্থিতি মোকাবেলায় পাহাড়ে বিবদমান অস্ত্রধারী বিভিন্ন গোষ্ঠীকে দমন করতে বড় ধরনের পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা জরুরী বলে মতামত ব্যক্ত করেন বক্তারা।