রাঙামাটিতে বিটিভির ঐতিহ্যবাহী ‘নতুন কুঁড়ি’র বাছাই পর্ব চলছে

20

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥

এ বছর তিন পার্বত্য জেলা থেকে মোট ২৪৩ জন শিশু-কিশোর নতুন কুঁড়িতে অংশ গ্রহণের অভিপ্রায়ে রেজিস্ট্রেশন করেছে। এর মধ্যে ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গত তিনদিন ১৫৪ জন প্রতিযোগী বাছাই পর্বে অংশ নিয়ে বিচারকদের সামনে নিজেদের প্রতিভা তুলে ধরে। এ সময় বিভিন্ন বিষয়ে ১১১ জন প্রতিযোগী ‘ইয়েস-কার্ড’ পেয়েছে। আজ ২৮ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক বাছাইপর্ব শেষ হবে। আয়োজকরা জানায়, ‘ইয়েস-কার্ড’ প্রাপ্ত প্রতিযোগীরা পরবর্তীতে বিভাগীয় পর্যায়ের বাছাইপর্বে অংশগ্রহণ করবে।

এদিকে খাগড়াছড়ি জেলায় অবরোধ থাকায় শনিবার কিছ প্রতিযোগীর আসতে অসুবিধা হলেও অবরোধ সত্ত্বেও খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙামাটির বিভিন্ন স্থান থেকে শিশু-কিশোরদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে বাছাইপর্ব প্রাঙ্গণ উৎসবে পরিণত হয়।

চট্টগ্রাম-২ অঞ্চলের বাছাই পর্বের দায়িত্বে ৩ জন বিচারক সহ আরো রয়েছেন, মোঃ শহিদুল ইসলাম, নিয়ন্ত্রক (ক্যামেরা), বিটিভি; মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, বিজ্ঞাপন নির্বাহী, বিটিভি; উম্মে হাবিবা দীনা, প্রযোজক, বিটিভি; এবং মোঃ শরীফুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর (ডিএফপি)।

প্রসঙ্গত ১৯৭৬ সালে জাতীয় টেলিভিশন প্রতিযোগিতা হিসেবে ‘নতুন কুঁড়ি’ বাংলাদেশ টেলিভিশনে যাত্রা শুরু করে। অনুষ্ঠানটির নামকরণ নতুন কুঁড়ি’ করা হয়েছিল কবি গোলাম মোস্তফার ‘কিশোর’ নামক কবিতা থেকে। উপমহাদেশের প্রথম রিয়েলিটি শো প্রতিভা অন্বেষণের এই সিগনেচার প্রোগ্রামটি শুরু থেকেই নতুন প্রজন্মসহ সকল শ্রেণীর দর্শকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি প্রোগ্রাম হিসেবে পরিচিতি লাভ করে আসছে।

শিশু-কিশোরদের প্রতিভা অন্বেষণের এই প্রতিযোগিতা বাংলাদেশ টেলিভিশনের যাত্রার শুরু থেকেই ‘নতুন কুঁড়ি’ নামে এই প্রোগ্রামটি দেশ-বিদেশে প্রচুর সুনাম ও দর্শকপ্রিয়তা অর্জন করায় এবং এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে দেশে অনেক খ্যাতিমান শিল্পী তৈরী হওয়ায় দেশব্যাপী প্রতিভা অন্বেষণ ও বিকাশের সুযোগ সৃষ্টির জন্য অরিজিনাল থিমসংসহ ‘নতুন কুঁড়ি’ প্রোগ্রামটি ২০২৫ সালে পুনরায় শুরু করা হয়।

দেশের ৬৪টি জেলাকে ১৯টি অঞ্চলে ভাগ করে প্রতিযোগিতার আঞ্চলিক পর্যায়ের বাছাই চলবে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। আঞ্চলিক পর্যায়ে ‘ইয়েস কার্ড’ প্রাপ্ত প্রতিযোগীরা বিভাগীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণের জন্য নির্বাচিত হবে। বিভাগীয় পর্যায়ের অডিশন হবে ৪ অক্টোবর থেকে ১১ অক্টোবর।

আঞ্চলিক ও বিভাগীয় পর্যায়ের সব অডিশন সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। তবে নির্ধারিত সংখ্যক অংশগ্রহণকারীর অডিশন শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই দিনের অডিশন সমাপ্ত হবে না। অডিশনের তারিখ আবেদনকারীদের মোবাইল নম্বরে এসএমএস-এর মাধ্যমে জানানো হবে। বিভাগীয় পর্যায়ের উত্তীর্ণ প্রতিযোগীরা পরবর্তী সময় বিটিভি, ঢাকা কেন্দ্রের বিভিন্ন ধাপগুলোতে অংশগ্রহণ করবে।

অভিনয়, আবৃত্তি, গল্প বলা/কৌতুক, সাধারণ নৃত্য/উচ্চাঙ্গ নৃত্য, দেশাত্মবোধক গান/ আধুনিক গান, রবীন্দ্রসংগীত, নজরুলসংগীত, লোকসংগীত ও হামদ-নাত এই ৯টি বিষয়ে ‘ক’ ও ‘খ’ শাখায় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। বয়সসীমা অনুযায়ী থাকছে দুটি শাখা: ‘ক’ শাখা (৬-১১ বছর) এবং ‘খ’ শাখা (১১-১৫ বছর)।

চট্টগ্রাম-১ (চট্টগ্রাম, কক্সবাজার জেলা)-এর আঞ্চলিক অডিশন চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হবে। চট্টগ্রাম-২ (রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি জেলা)-এর আঞ্চলিক অডিশন রাঙামাটি পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। চট্টগ্রাম-৩ (কুমিল্লা, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা)-এর আঞ্চলিক অডিশন কবি নজরুল ইনস্টিটিউট, কুমিল্লায় অনুষ্ঠিত হবে। চট্টগ্রাম-৪ (নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী জেলা)-এর আঞ্চলিক অডিশন নোয়াখালী শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হবে।