রাঙামাটিতে ভ্রমণকন্যার ৪র্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বৃক্ষরোপণ

362

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥
ট্রাভেলটস অব বাংলাদেশ-ভ্রমণকন্যার ৪র্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে “নারীর চোখে বাংলাদেশ” প্রজেক্টের সদস্যরা রাঙামাটি সদরের আলুটিলা গ্রামে ‘উপগুপ্ত বনবিহার’ নামক স্থানে বৃক্ষরোপণ করে। নানিয়ারচর, বরকল, রাজস্থলী, রাঙামাটি সদর উপজেলার ভলান্টিয়ারসহ আলুটিলা উপগুপ্ত বনবিহারের আবাসিক প্রধান রত্নজ্যোতি ভিক্ষু এবং গ্রাম প্রধান (কার্বারী) রবিধন চাকমা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশে নারীদের ভ্রমণে উৎসাহিত করে তোলার লক্ষ্যে দেশের প্রথম অনলাইন নারী ভ্রমণ সংগঠন “ট্রাভেলেটস অফ বাংলাদেশ-ভ্রমণকন্যা” যার মূল উদ্দেশ্য নারী পর্যটকদের নিরাপদ এবং স্বাচ্ছন্দে ভ্রমণের পাশাপাশি নারী ক্ষমতায়নের একটি প্লাটফর্ম তৈরী করা।

২০১৬ সালের ২৭ নভেম্বর ডাঃ সাকিয়া হক এবং ডাঃ মানসী সাহার উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় সংগঠনটি। যেখানে এখন প্রায় ৫২ হাজারেরও বেশি নারী সদস্য যুক্ত রয়েছে। ট্রাভেলেটস দেশ ও দেশের বাইরে পর্যটন স্থানগুলো ভ্রমণের মাধ্যমে বিশ্বের কাছে দেশের পর্যটন শিল্পকে তুলে ধরছে এবং নারী ভ্রমণকন্যাদের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে।

ভ্রমণকে নতুন মাত্রা দিতে ২০১৭ সালের ৬ এপ্রিল থেকে শুরু করা হয় “নারীর চোখে বাংলাদেশ” নামে সংগঠনটির একটি নতুন প্রকল্প। যার উদ্দেশ্য ছিলো দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বয়ঃসন্ধিকালীন মেয়েদের মাঝে সচেতনতা পৌঁছে দেয়া। যার আওতায় গ্রুপটির চারজন সদস্য দুটি স্কুটি নিয়ে ভ্রমণ করে বাংলাদেশের ৬৪ জেলা।

শুধু তাই নয় প্রতি জেলাতে অন্তত একটি স্কুলে মেয়েদের সাথে কথা বলেন খাদ্য-পুষ্টি, বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাস্থ্য সচেতনতা ও আত্মরক্ষার কৌশলের উপর ওয়ার্কশপ করিয়েছেন। ৫ মে ২০১৯ দীর্ঘ দুই বছর এক মাস সময় নিয়ে যার সমাপ্তি ঘটে ঢাকা জেলার মাধ্যমে। এই দিন বাংলাদেশের প্রথম নারী হিসাবে (ডাঃ সাকিয়া হক ও ডাঃ মানসী সাহা) স্কুটিতে ৬৪ জেলা ভ্রমণ করে বাংলার ইতিহাসে যুক্ত করেন আরেকটি মাইলফলক। এ সময় তারা দেশের আনাচে-কানাচে প্রায় ২০,০০০ হাজার মেয়ের মাঝে সচেতনামূলক কার্যক্রমটি পরিচালনা করেন।

সংগঠনটি গত প্রজেক্টে বাংলাদেশের ৬৪টি জেলাতে অন্তত একটি করে স্কুলে ওয়ার্কশপ সম্পন্ন করেছে, যা ব্যাপক সাড়া পেয়েছিলো।

তাই এই সচেতনতা সর্বত্র পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে নতুন করে শুরু করা হয় “নারীর চোখে বাংলাদেশ” এর বর্ধিত ধাপ। বাংলাদেশের সকল জেলার সকল স্কুলে ৬ষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণীর মেয়েদের সাথে এই ওয়ার্কশপের মাধ্যমে সচেতনতা সৃষ্টি করা ও তাদেরকে পরবর্তী প্রজন্মের হাতিয়ার বানানোর প্রত্যয়ে কাজ শুরু করা হয়।বর্তমানে করোনা মহামারীর কারণে আমাদের এই বর্ধিত প্রজেক্টের কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে।