॥ আলমগীর মানিক ॥
৬ষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ভিডিও করে সেই ভিডিও দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে মোঃ সুজন ওরফে নয়ন নামে এক যুবককে আটক করেছে কোতয়ালী থানা পুলিশ। মামলা দায়েরের ২৪ ঘন্টার মধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছেন কোতয়ালী থানার এসআই ক্যহলা চিং মারমা।
তিনি জানান যুবকের বিরুদ্ধে রাঙামাটি কোতয়ালী থানায় গত ২০শে আগষ্ট শিক্ষার্থী ধর্ষণের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন তার মা, মামলা নাম্বার-৭। আমরা মামলা দায়েরের পর থেকেই উদ্বর্তন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় আসামীকে গ্রেফতারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে অবশেষে রোববার বিকেলে অভিযুক্তকে আটক করতে সক্ষম হই। সোমবার আসামীকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
মামলার বাদী ভিকটিমের মা এজাহারে উল্লেখ করেন, আমাদের ও ছেলেটির উভয় পরিবারের বাসা পাশাপাশি হওয়ার সুবাধে উভয় পরিবারের মধ্যে সুসম্পর্ক ছিলো। এই সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে ১৭/০৭/২০২২ ইং তারিখ বুধবার সকালে আমার ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়–য়া ১২ বছর বয়সী মেয়েকে ফূসলিয়ে নিজেদের ঘরে নিয়ে যায় সুজন। এসময় ধারালো ছুরি দিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং ভিডিও করে রাখে। এই ঘটনা কাউকে জানালে ভিকটিম ও তার ছোট ভাইকে খুন করার হুমকিও দিয়েছে সুজন। পরবর্তীতে ধর্ষণের ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে উক্ত শিক্ষার্থীকে আরো বেশ কয়েকবার ধর্ষণ করা হয়েছে বলেও মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন ভিকটিমের মা।
সর্বশেষ গত ১৭/০৮/২০২২ ইং তারিখে মেয়েটিকে ডেকে নিয়ে আবারো জোরপূর্বক ধর্ষণ করায় মেয়েটি মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে। এতে করে বিষয়টি মেয়েটির পরিবারের সদস্যদের দৃষ্টিগোচর হলে মেয়ের মা তাকে জিজ্ঞাসা করলে মায়ের কাছে সে ঘটনার বিস্তারিত খুলে বলে।
মেয়ের মা জানান, আমার স্বামী মারা যাওয়ার পর আমি মানুষের বাসায় কাজ করে আমার ৫টি সন্তানকে লালন পালন করছি। নিজে না খেয়ে হলেও মেয়েটিকে সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করাচ্ছিলাম। কিন্ত এই ঘটনায় আমার সবশেষ হয়ে গেছে। আমি ন্যায় বিচার চাই।