রাঙামাটির সর্বত্র নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহার চলছেই

389

begg-ppic

॥ এম.নাজিম উদ্দীন ॥

রাঙামাটি শহর ও উপজেলার হাট-বাজারগুলোতে অবাধে ব্যবহার হচ্ছে নিষিদ্ধ পলিথিন। পরিবেশ আইনে পলিথিন ব্যবহার নিষিদ্ধ হলেও রাঙামাটি জেলায় এর কোনও প্রয়োগ নেই।

পলিথিন ব্যবহারে আইন হওয়ার পর বেশ কিছু দিন স্থানীয় বাজারে পলিথিন দেখা না গেলে ও ধীরে ধীরে বাজারে ফিরে এসেছে ক্ষতিকারক পলিথিন। রাঙামাটি শহরের বনরূপা বাজার, রিজার্ভ বাজার, তবলছড়ি বাজার এবং শহরের বিভিন্ন স্টেশনারী দোকান, বেকারি, মুদির দোকান, ফলের দোকান, মাছ-মাংস সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে পলিথিনের অবাধ ব্যবহার হচ্ছে।

ক্রেতারা কোন ও পণ্য কিনলেই দোকানদাররা পলিথিন ব্যাগে দিয়ে দেয়। সাদা কালো দু তিন ধরনের পলিথিন ব্যাগে চাল, ডাল, মাছ, মাংস, ফল ও সবজিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করা হয়। রাঙামাটি শহরের তবলছড়ি বাজার, রিজার্ভ বাজার, বনরূপা বাজারে, সাপ্তাহিক বিভিন্ন হাট বাজারে দোকানদাররা পলিথিন ব্যাগ বিক্রি করতে দেখা যায়। পণ্য ক্রেতারা ও দোকানদারদের কাছ থেকে পলিথিন ব্যাগ চেয়ে নেয়। পলিথিন ব্যাগ দিনের পর দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বনরূপা বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, প্রতিদিন ছোট, মাঝারি ও বড় সাইজের পলিথিন ব্যাগে বাজার পণ্য সরবরাহ করতে হয়। ছোট সাইজের পলিথিন ব্যাগ প্রতিশত ৮০ টাকা মাঝারি সাইজের ৯০ টাকা ও বড় সাইজের ১২০ টাকা দরে ক্রয় করতে হয়। দোকানদাররা পলিথিন ব্যাগের পাশাপাশি কাগজ ও নেটের ব্যাগ সরবরাহ করলেও তা অত্যন্ত কম। এক ব্যাবসায়ী জানান, কাগজ ও নেটের ব্যাগের তুলনায় পলিথিন ব্যাগে পণ্য সরবরাহ করতে হয়।

২০০২ সালে ক্ষতিকর পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ করে পলিথিন ব্যাগের বিকল্প হিসেবে পাট, কাগজ ও নেটের ব্যাগ ব্যবহার করতে জনগণের মধ্যে প্রচারণা চালানো হয়। কিন্তু বর্তমানে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী পলিথিন ব্যাগ দোকানদারের মাঝে গোপনে সরবরাহ করছে।

এদিকে ১৯৯৫ সালের পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে সশ্রম কারাদন্ড বা অর্থদন্ডের বিধান রয়েছে। আইনের প্রয়োগ না থাকার কারণে রাঙামাটি শহর ও উপজেলার হাট-বাজারগুলো এখন পলিথিন ব্যাগে সয়লাব।