রাঙামাটি শহরের শিমুলতলী এলাকায় মালবাহি ট্রাক নিয়ন্ত্রন হারিয়ে প্রধান সড়কের পাশ্ববর্তী দোকানে ঢুকে পড়লে তিনজন নিহত এবং ৫ জন আহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে দু’জন ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায় অন্যজন হাসাপাতালে নেওয়ার পর মারা যায়। আহতদের মধ্য থেকে গুরুতর তিনজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। রোববার সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলো, নুর হোসেন (৬০) আবুল হাসেম মিস্ত্রি (৪৫) ও তার ছেলে শরিফুল ইসলাম (১৮)।
আহতরা হলো- মহিদুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম, সুমন, শামীম ও নুর মোহাম্মদ। আহতদের মধ্যে মহিদুল ইসলাম বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে সর্বশেষ খবরে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শিরা জানায়, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ধারন ক্ষমতার অতিরিক্ত (ময়দার বস্তা) মাল বোঝাই ট্রাকটি (নং চট্টমেট্রো ট ১১-১৩০০) রাঙামাটিতে প্রবেশের সময় শিমুলতলী এলাকায় এসে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশ্ববর্তী দেলোয়ারের মালিকানাধীন দোকানে ঢুকে পড়লে তিনটি দোকানে অবস্থান করা অন্তত ৮জন লোক ট্রাকের নীচে চাপা পড়ে।
সাথে সাথেই সেনাবাহিনী, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসহ স্থানীয় বাসিন্দারা ঘটনাস্থলে এসে ট্রাকের নীচে চাপা পড়াদের উদ্ধার করে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক শওকত আকবর খান দুইজনকে প্রাথমিক পরীক্ষার পরপরই মৃত ঘোষণা করেন। আহতদের মধ্যে গুরুত্বর দু’জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করা হয় বলে তিনি জানান।
এদিকে খবর পেয়ে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান, পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান, সদর জোন কমান্ডার মোঃ রিদওয়ানসহ প্রশাসনের উর্দ্বতন কর্মকর্তাগণ ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং হাসপাতালে গিয়ে হতাহতদের খোঁজ-খবর নেন।
সর্বশেষ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ সূত্র ও শিমুলতলী এলাকার সামাজিক ব্যক্তিত্ব মিঠু জানিয়েছেন, আহতদের মধ্যে শরীফুল ইসলাম মেডিকেলের গেইটে-ই মারা যায়। এনিয়ে একই পরিবারের দুইজনসহ মোট তিনজন নিহত হয়েছে।