রামগড়ে স্থলবন্দর সড়ক সম্প্রসারণে এক হাজার ১০৭.১২ কোটি টাকার নতুন প্রকল্প

103

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥

ভারত বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে পার্বত্য খাগড়াছড়ির রামগড়-হেঁয়াকো-বারৈয়ারহাট সড়ক প্রশস্থের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করা হয়েছে। বুধবার (২৪ মে) দুপুর ১২টার দিকে তেজগাঁও সড়ক ভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী মো. ওবায়দুল কাদের। এসময় ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা তার বক্তব্যে অবকাঠামো নির্মাণে ভারত ও বাংলাদেশের অগ্রাধিকারের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সম্প্রতি সব ক্ষেত্রেই নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।

অনুষ্ঠানে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা তার বক্তব্যে গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ অবকাঠামো নির্মাণে ভারত সরকার ও বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অগ্রাধিকারের কথা তুলে ধরেন। তিনি উল্লেখ করেন, ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সাম্প্রতিক সময়ে সবক্ষেত্রেই নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে এবং বাংলাদেশ মূল্যমান ও প্রকল্পের সংখ্যা উভয় দিক থেকেই ভারতের বৃহত্তম উন্নয়ন অংশীদার।

এসময় রামগড়ে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু এলাকায় উপস্থিত ছিলেন ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রীর পদ-মর্যাদা) কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, নারী সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা, খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধূরী অপু, খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. নাইমুল হক, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাকসুদুর রহমান, ফটিকছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবু তৈয়ব, রামগড় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিশ্বপ্রদীপ কারবারী ত্রিপুরা, রামগড় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতা আফরিন ও রামগড় পৌরসসভার মেয়র রফিকুল আলম প্রমুখ।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী মো. ওবায়দুল কাদের বলেন, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে রামগড় স্থলবন্দরের গুরুত্ব অপরিসীম। যে কারণে দেশের অর্থনৈতিক বিবেচনায় রামগড় স্থলবন্দর অধিক গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক সড়ক যোগাযোগ স্থাপনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, একাজ শেষ হলে খাগড়াছড়ির সঙ্গে চট্টগ্রাম বিভাগসহ সারাদেশের নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপিত হবে। খাগড়াছড়ি তথা পার্বত্য চট্টগ্রামের ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণ, পর্যটন শিল্পের বিকাশে এ সড়ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

জানা গেছে, ৩৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের রামগড়-হেঁয়াকো-বারৈয়ারহাট সড়কের প্রশস্তকরণ ও আধুনিকীকরণ কাজ শেষ হলে রামগড় স্থলবন্দরের সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও সহজ হবে। ৫.৫০ মিটারের সড়কটি বৃদ্ধি করে ১১.৩০ মিটারে উন্নতি করা হবে। এ প্রকল্পে থাকবে ২৪৯.২০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৯টি ব্রিজ ও ১০৮ মিটার দৈর্ঘ্যরে ২৩টি সেতু। যার ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ১০৭ কোটি ১২ লাখ টাকা। ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়।