রূপনা-ঋতুপর্ণাদের উষ্ণ সংবর্ধনা দিলে তাদের শৈশব কৈশরের স্কুল

116

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥

সাফ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশীপে বাংলাদেশের অবিস্মরনীয় জয়ের নায়িকা পাহাড়ের পাঁচ নারী ফুটবলার আনাই, আনুছিং, রূপনা, ঋতুপর্ণা ও মনিকাকে উষ্ণ সংবর্ধনা দিলো তাদের শৈশব কৈশরের স্কুল স্কুল ঘাগড়া উচ্চ বিদ্যালয়।

বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে রাঙামাটির ঘাগড়া বাজারে খেলোয়াড়রা পৌছালে স্কুলের ছেলে মেয়ে, শিক্ষক ও এলাকাবাসী উল্লাসে ফেটে পড়ে। এ সময় স্কুলের শিক্ষকরা ৫ ফুটবলারকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়। পরে আনন্দ উল্লাস আতশ বাজির ঝলকানি ও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্যদিয়ে ঘাগড়া বাজার থেকে স্কুলে নিয়ে এসে মেয়েদেরকে কেক কেটে মিষ্টি মুখ করান।

এ সময় ঘাগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা চন্দ্র দেওয়ান, কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ পারভেজ, ঘাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিনসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকরা উপস্থিত ছিলেন।

পাহাড়ে ৫ নারী ফুটবলার আনাই, আনুছিং, রূপনা, ঋতুপর্ণা ও মনিকা আসার খবরে সকাল থেকে ঘাগড়া স্কুলে আনন্দের বন্যায় বইতে শুরু করে। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের সিনিয়র দিদিরা আসার খবরে উল্লাসিত হয়ে উঠে আনন্দে মেটে উঠে।

উল্লেখ্য যে, রাঙামাটির ঘাগড়া উচ্চ বিদ্যালয় হচ্ছে নারী খেলোয়াড় সৃষ্টির কারিগর। শত প্রতিকুলতার মাঝে থেকে রাঙামাটির ক্ষুদে খেলোয়াড়রদের খুঁজে বের করে নিয়মিত কাউন্সিলিং ও প্র্যাকটিসের মাধ্যমে দেশের জন্য খেলোয়াড় তৈরী করছে। বাংলাদেশ জাতীয় দলের পাহাড়ে ৫ নারী ফুটবলার আনাই, আনুছিং, রূপনা, ঋতুপর্ণা ও মনিকা বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্ট থেকে বিভিন্ন স্কুলের হয়ে খেলে উঠে আসে। তাদেরকে নীবির মমতায় গড়ে তোলেন মঘাছড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বীর সেন চাকমা। পরবর্তীতে ঘাগড়া উচ্চ বিদ্যালয় সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিয়ে তাদেরকে গড়ে তোলে শান্তি মনি চাকমা। আজ তারা দেশের গর্ব।

এদিকে বুধবার বিকালে রাঙামাটি জেলা পরিষদ ও রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পাহাড়ে ৫ নারী ফুটবলার আনাই, আনুছিং, রূপনা, ঋতুপর্ণা ও মনিকাকে বিরোচিত সংবর্ধনা দেয়া হবে। দুপুর আড়াইটা খোলা গাড়ীতে করে ঘাগড়া স্কুল থেকে তাদেরকে রাঙামাটি শহর প্রদক্ষিণ করানোর পর বিকেল সাড়ে ৪টায় রাঙামাটি চিংহ্লা মং মারি স্টেডিয়ামে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।