স্টাফ রিপোর্টার, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৫, দৈনিক রাঙামাটি : আগামীকাল শুক্রবার খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শুভ বড়দিন। খ্রিষ্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিষ্ট এ দিন বেথলেহেমে জন্মগ্রহণ করেন। খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচার এবং মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করতে প্রভু যিশুর এ ধরায় আগমন ঘটেছিল।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের খ্রিষ্টধর্মানুসারীরাও যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা, আচার, আনন্দ-উৎসব এবং প্রার্থনার মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন করবে। আগামীকাল সরকারি ছুটির দিন। বড়দিন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ এমপি খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের শুভেুমণা জানিয়ে পৃথক বাণী দিয়েছেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের এ বড়দিন উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন। দিনটি উপলক্ষে অনেক খ্রিষ্টান পরিবারে কেক তৈরি হবে, থাকবে বিশেষ খাবারের আয়োজন। দেশের অনেক অঞ্চলে কীর্তনের পাশাপাশি ধর্মীয় গানের আসর বসবে। রাজধানীর তেজগাঁও ক্যাথলিক গির্জায় (পবিত্র জপমালার গির্জা) বড়দিনের বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে। গির্জা প্রাঙ্গণ আলোক সজ্জায় সজ্জিত এবং জরির কারুকাজ সাজে গির্জার ভেতর হয়ে উঠেছে রঙিন।
গির্জার ভেতরে ক্রিসমাস ট্রিকে বাহারি সাজে সাজানো হয়েছে। গাছটির ডাল-পালায় ঝোলানো হয়েছে বল, কুড়েঘর, চকলেটসহ নানা সামগ্রী। বড়দিন উপলক্ষে গির্জার মূল ফটকের বাইরে বসেছে মেলা। মেলার দোকানগুলোতে বড়দিন ও ইংরেজি নতুন বছরের কার্ড, নানা রঙের মোমবাতি, সান্তা ক্লজের টুপি, জপমালা, ক্রিসমাস ট্রি, যিশু-মরিয়ম-যোসেফের মূর্তিসহ নানা সামগ্রী বিক্রি হতে দেখা যায়।
আজ বৃহস্পতিবার রাতে গির্জায় বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার সকাল থেকে বড়দিনের প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। দিনটি উপলক্ষে হোটেল সোনার গাঁও, হোটেল রেডিসন ও ওয়েস্টিনসহ রাজধানীর অভিজাত হোটেলগুলোতে ক্রিসমাস ট্রি, বড়দিনের কেক এবং বুফে লাঞ্চ ও ডিনারসহ নানা অনুষ্ঠানমালার আয়োজন রাখা হয়েছে। এসব হোটেলে শিশুদের জন্যও রয়েছে সান্তাক্লজ ও তার উপহারের ব্যবস্থা।
পোস্ট করেন- শামীমুল আহসান, ঢাকা ব্যুরোপ্রধান