রাঙামাটিতে নিউট্রিশন সেনসেটিভ প্রোগ্রামিং কর্মশালা অনুষ্ঠিত

318

॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥
দেশব্যপী পুষ্টি কর্মসূচির আওতায় রাঙামাটিতে তিন দিনব্যাপী নিউট্রিশন সেনসেটিভ প্রোগ্রামিং কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাঙামাটি মারী স্টেডিয়ামের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষক-প্রশিক্ষণ শিরোনামের তিন দিনের এই কর্মশালা বৃহস্পতিবার (২৭আগষ্ট) বিকেলে শেষ হয়।

প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বক্তারা বলেন, দেশের অন্যান্য এলাকার চেয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত মানুষেরা বেশি পুষ্টিহীনতায় ভুগছে। এর মূল কারণ হলো- সচেতনতার অভাব এবং কুসংস্কারের কারণে এ সমস্যা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। যদি সমাজ থেকে কুসংস্কার দূর এবং সচেতনতা বৃদ্ধি করা যায় তাহলে এ সমস্যা নিরসন করা কোন ব্যাপার না বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।
বক্তারা আরও বলেন, পাহাড়ে বেশিরভাগ গর্ভবতী মায়েরা পুষ্টিহীনতায় ভুগে। যে কারণে প্রতিবন্ধী সন্তান জন্ম গ্রহণ করে।

এছাড়া জন্ম নেওয়া বেশিরভাগ শিশু পুষ্টিহীনতায় ভুগে। এইজন্য গর্ভবর্তী মায়েদের যতœ নিতে হলে তৃনমূল পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। এইজন্য সমাজের গণমাণ্য ব্যক্তিবর্গ এবং হেডম্যান-কার্বারীদের সম্পৃক্ত করার আহ্বান জানানো হয়।

মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইন্সটিউট (বারটন) ও রাঙামাটি জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটি (ডিএনসিসি) আয়োজনে অনুষ্ঠিত কর্মশালার প্রধান অতিথি থেকে উদ্বোধন করেন, রাঙামাটির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক অমিতাভ পরাগ তালুকদার।

তিনদিনব্যাপী এই কর্মশালা আয়োজনে সহযোগিতা করেছে, লিডারশীপ টু এনসিউর এডইকুয়েট নিউট্রিশন (লীন) প্রকল্প।
কর্মশালার প্রশিক্ষণ প্রদান করেছেন, বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইন্সটিউট (বারটন) এর প্রশিক্ষক ড. রাজু আহম্মেদ। এসময় রাঙামাটির ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা: নীতিশ চাকমা, লীন প্রকল্পের টেকনিক্যাল সহকারি আজিজুল্লাহ আল মাহমুদ ও রাঙামাট জেলার টেকনিক্যাল সহকারি ডায়না চাকমাসহ প্রতিষ্ঠানটির অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

রাঙামাটির সরকারি প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ ১৭টি বিভাগের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারাসহ সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশ নেন।