সাত মাস পর কাপ্তাইয়ে পর্যটন স্পটগুলো খুলতে শুরু করেছে

327

॥ নূর হোসেন মামুন ॥
হেমন্তের আগমণে নীল-সবুজের পাহাড় নদী ক্রমেই আরো মূর্ত হয়ে উঠছে, ফিরে এসেছে প্রাণ-প্রকৃতি। প্রাকৃতির রূপের এ পরিবর্তন হাতছানি দিয়ে ডাকছে ভ্রমণ পিপাসুদের। পর্যটন উপশহর খ্যাত কাপ্তাইয়ে এসময়ে দেশী-বিদেশী হাজারও পর্যটকের আনাগোনায় মূখর থাকতো। তবে করোনা প্রতিরোধে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞায় এখনো বন্ধ বেশিরভাগ পর্যটনকেন্দ্র। ফলে আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগে কাপ্তাইতে আসা পর্যটকগণ ফিরছেন হতাশ হয়ে। এরই মধ্যে দীর্ঘ ৭ মাস পর অবশেষে আজ সর্বসাধারণের জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে উন্মুক্ত হচ্ছে পর্যটন কেন্দ্র ‘প্রশান্তি পার্ক’।

স্থানীয় সূত্র মতে, ২’মাস আগে খুলে দেওয়া হয় ‘প্যানোরমা জুম রিসোর্ট এন্ড পিকনিক স্পট’ ও ‘কাপ্তাই রিভার ভিউ পিকনিক স্পট ও রেস্টুরেন্ট’। এখনো বন্ধ লেক ভিউ, লেক প্যারাডাইস, লেক শো রিসোর্ট। পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ থাকায় এ খাতকে ঘিরে গড়ে উঠা শতাধিক কর্মসংস্থানে বেকার হয়েছে হাজারও মানুষ। বিভিন্ন খাতে ক্ষতি হয়েছে অন্তত ৫ কোটি টাকা।

এদিকে প্রশান্তি পার্ক খোলার খবরে পর্যটকদের মাঝে শুরু হয়েছে আনন্দ-উলাস। দীর্ঘদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকরা ফিরেছেন হতাশ হয়ে। ইতিমধ্যে পর্যটক বরণের সমস্ত প্রস্তুতি নিয়েছে পর্যটন কর্তৃপক্ষ। উন্মুক্তের খবরে পার্কের কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীদের মাঝেও ফিরেছে স্বস্তি। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর নতুন রূপে আরো আকর্ষণীয় হয়ে খোলা হচ্ছে পর্যটনকেন্দ্রটি।

প্রকৃতির অপরুপ সুন্দর্য উপভোগ করার অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র কাপ্তাইয়ের প্রশান্তি পার্ক। লুসাই পাহাড় থেকে বয়ে আসা শীতল জলের কর্ণফুলী নদীর তীর ঘেঁষে গড়ে ওঠা এই পর্যটন কেন্দ্রে প্রতিবছর হাজার হাজার পর্যটকের আগমন ঘটে। পর্যটনকেন্দ্রটিতে ভ্রমনপিপাসুদের জন্য রয়েছে আকর্ষণীয় সুবিশাল পিকনিক স্পট, দোলনা, সাংস্কৃতিক মঞ্চ, কুঁড়ে ঘর, প্রাকৃতিক পরিবেশে নদীর পাড়ে তাঁবুতে রাত্রি যাপনের ব্যবস্থা, বিভিন্ন রকমের কটেজ, কায়েকিংয়ের ব্যবস্থা। কর্ণফুলী নদীতে ভ্রমণের জন্য রয়েছে বোটের ব্যবস্থা।

পর্যটন কেন্দ্র ‘প্রশান্তি পার্ক’ এর পরিচালক মো. নাছির উদ্দিন জানান, করোনার কারণে মার্চ মাস থেকে বন্ধ ছিলো পিকনিক স্পটটি। ফলে আমরা অনেক ক্ষতির মুখে পড়েছি। সরকারি নির্দেশনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে আজ থেকে আবারও চালু হচ্ছে প্রশান্তি পার্ক। ইতিমধ্যে সমস্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। পর্যটকদের বরণ করতে এবার নেওয়া হয়েছে ভিন্নধর্মী উদ্যোগ।

হোটেল আল রাইয়ানের পরিচালক কামাল হাকিম জানান, পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছে এ খাতকে ঘিরে গড়ে উঠা শতাধিক কর্মসংস্থানের হাজারও মানুষ। ক্ষতির পরিমাণ নূন্যতম হলেও ৫ কোটি টাকা হবে। দ্রুত বাকী পর্যটন কেন্দ্র খোলা না হলে লোকসান আরও বাড়বে।