অনাদর অবহেলায় বখাটেদের দখলে রাঙামাটির কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার

423

॥ গোলাম মোস্তফা ॥
জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মৃতিঘেরা রাঙামাটি শহীদ মিনার ঘিরে কর্তৃপক্ষের উদীসিনতা দীর্ঘদিনের। নাগরিক সমাজ সোচ্চার হলে বা জাতীয় দিনগুলোর দু’একদিন আগে ঝলমল করে উঠে শহীদ মিনার। দিবস চলে গেলে আবার যেই কি সেই। এমনি অবহেলার করণে শহীদ মিনার এখন সন্ধ্যার পর ভুতুড়ে এলাকায় পরিণত হয়। আর এ সময় এখানে মেলা বসে বখাটে ও নেশাখোরদের।

মাঝে মাঝে পুলিশি অভিযান হলে বখাটেরা কয়েকদিন সমঝে চলে। কয়েক দিন যেতে না যেতে আবারও তাদের অভয়ারণ্য হয়ে উঠে এই শহীদ মিনারটি। এ অবস্থার অবসান চায় রাঙামাটি সচেতন মহল।

জাতীয় বীরদের সম্মান অক্ষুন্ন রেখে শহীদ মিনার ঘিরে স্থায়ী পরিকল্পনা গ্রহণের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক জমজমাট রাখার ব্যবস্থা করা গেলে হয়তো আলো হারিয়ে এ এলাকাটি অন্ধকার হয়ে যাওয়ার বিড়ম্বনা থেকে বেঁচে যেতে পারে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা।

কারণ রাঙামাটির কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এখন আলো হারিয়ে অন্ধকারে। রাতে আধারে শহীদ মিনারকে আলোকিত করা এবং সৌন্দর্য বর্ধনে লাগানো স্ট্রিট ল্যাম্পের বাতি বা স্ট্যান্ডের অস্তিত্ব নেই। এমনকি শহীদ মিনারের পাশে লাগানো ল্যাম্পের গ্লাস ভেঙ্গে বেরিয়ে আছে সার্কিট।

লোহার রেলিং ভেঙ্গে খুলে নিয়েছে লোহাগুলো। রক্ষা পায়নি ওয়ালের গ্রিল। শহীদ মিনার মাদকাসক্ত তরুণ ও মাদককারবারীদের খুব উত্তম জায়গায় পরিণত হয়েছে । এদিকে শিক্ষিত সমাজ বলছে শহিদ মিনারের সৌন্দর্য রক্ষা ও বখাটেদের হাত থেকে সুরক্ষিত রাখতে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।

স্থানীয়রা জানান, শহীদ মিনারের এই বেহাল অবস্থার জন্য বখাটে তরুণরা দায়ী। তারা তাদের মাদক সেবনের স্থান হিসেবে শহীদ মিনারের এই জায়গাকেই বেঁছে নিয়ছে। কাচের ল্যাম্প থেকে শুরু করে ওয়ালের গ্রিল এবং লোহার রেলিং ভাঙা সবগুলোই তাদের কাজ। এলাকাবাসী ও সচেতন মহল শহীদ মিনারের সম্মান ও সৌন্দর্য্য রক্ষা এবং প্রকৃতি প্রেমিদের নিরাপত্তার জন্য প্রহরী নিয়োগের দাবী জানান।

শহীদ মিনারের সম্পত্তি রক্ষার্থে নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগের পরিকল্পনা কথা জানিয়েছেন রাঙামাটি পৌরসভার মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী। নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগের বিষয়টি অতিশীগ্রই বাস্তবায়ন করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।