ধারাবাহিক উন্নয়নে বদলে যাচ্ছে দুর্গম দৌছড়ি

530

॥ নুরুল কবির বান্দরবান থেকে ॥
বান্দরবান পার্বত্য জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্তবতী এলাকার দুর্গম জনপদের নাম দৌছড়ি ইউনিয়ন। যদিও শিক্ষাদীক্ষা, সাংস্কৃতিক দিক থেকে অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে এই জনপদের মানুষ। তবে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি’র আন্তরিকায় ইতিমধ্যে পাল্টে যাচ্ছে দুর্গম দৌছড়ি ইউনিয়নের চিত্র।

দৌছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ হাবিবউল্লাহ বলেন. পার্বত্য বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি’র আন্তরিক প্রচেষ্টা  জনসাধারণের আস্থা ও ভাল বাসায় এই দুর্গম জনপদের আনাচে-কানাচে দৃশ্যমান উন্নয়ন কাজ চলছে। দৃশ্যমান এসব উন্নয়ন কাজ শেষ হলে এলাকার মানুষের ভাগ্যের চাকা ঘুরে পাল্টে যাচ্ছে পুরো ইউনিয়নের চিত্র।

তিনি আরো বলেন, বর্তমানে শত কোটি টাকার  কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং শত কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। আগামীতে এসব কাজ সম্পন্ন হলে নাইক্ষংছড়ি উপজেলার ৫ ইউনিয়নের মধ্যে দুর্গম দৌছড়ি ইউনিয়ন হবে উপজেলার একটি মডেল ইউনিয়ন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তসলিম ইকবাল চৌধুরী বলেন, পার্বত্য বান্দরবানের উন্নয়নের রুপকার আধুনিক বান্দরবানের স্বপ্নদ্রষ্টা মন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি মহোদয়ের সু-নজরে সীমান্তবতী দৌছড়ি ইউনিয়নের ব্রীজ, কালভার্ট, মসজিদ, মাদ্রাসা, ক্যায়াং, গীর্জা  রাস্তাঘাট স্কুল, সহ বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হওয়ার পথে। তাই এই অবহেলিত জনপদের মানুষের অর্থনীতির চাকা ঘুরে দাড়িয়েছে। এখন এলাকার দ্রব্য সামগ্রী সহজেই বাজারজাত করে লাভের মুখ দেখেছে।

স্থানীয় সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম জানান উপজেলার সবচেয়ে দুর্গম এ ইউনিয়নের আয়তনে ১৬৫ বর্গ কিলোমিটার। জনসংখ্যা পাহাড়ী বাঙ্গালী মিলে আনুমানিক ১৫ থেকে ১৬ হাজারের মতো। এই ইউনিয়নের মধ্যে রয়েছে মুসলিম, মার্মা, চাক, ত্রিপুরা, ম্রো, ও খৃষ্টান সম্প্রদায়। ধারাবাহিক উন্নয়নে বদলে যাচ্ছে এ দুর্গম এলাকাটি এক সময়ে বান্দরবানের সবচেয়ে দুর্গম দৌছড়ি আজ সারাদেশের জন্য আর্কষনীয় দৌছড়ি ইউনিয়ন হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে। এখানে পাহাড়ি-বাঙ্গালিদের  ভিতর কোনদিন ঝগড়াঝাটি হয়নি। যদিও বা পুরো ইউনিয়নটি সীমান্ত ঘেষা। বর্তমানে ইউনিয়নের মধ্যে অধিকাংশ সড়ক কার্পেটিং এর আওতায় চলে এসেছে।

এ বিষয়ে বান্দরবান এলজিইডির নিবার্হী প্রকৌশলী আবু সাদাত মো: জিল্লুর রহমান জানান. স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় দৌছড়ি ইউনিয়ন প্রায় ৫০ কোটি টাকার ব্যয়ে বিভিন্ন উন্নযন কাজ চলমান রয়েছে। এগুলো হলো নাইক্ষংছড়ি উপজেলা সদর থেকে দৌছড়ি ইউনিয়ন পর্যন্ত কার্পেটিং সড়ক, বাইশারী টু দৌছড়ি ভায়া লংগদুর মুখ সড়কে ছাগল খাইয়া সড়কে খালের উপর ব্রীজ, বাঁকখালী নদীর উপর ব্রীজ ও সড়ক নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।

তাছাড়া বাহির মাঠ, লেমুছড়ি, কুলাছি, বাইছাং ত্রিপুরা পাড়া, পাইনছড়ি থেকে টারগু পাড়া বিজিবি ক্যাম্প পর্যন্ত সড়কের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আরো বিভিন্ন সড়ক, কালভাটের কাজ চলমান রয়েছে। এতে করে দুর্গম জনপদের বসবাসরত পাহাড়ী বাংগালী সহজেই উৎপাদিত পন্য বাজারজাত করে দিগুন আয় করে অর্থনৈতিক ভাবে সচ্ছলতা ফিরে আসতে শুরু হয়েছে।