“একজন বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ হতো না আর শেখ হাসিনা না হলে বাংলাদেশ ডিজিটাল হতো না”

409

॥ রাঙামাটি রিপোর্ট ॥
‘একজন বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র হতো না; বা বাঙালি জাতি স্বাধীন হতে পারতো না। তেমনি একজন শেখ হাসিনা না হলে বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত হতো না বা উন্নয়নশীল দেশেও উন্নীত হতো না’। তাই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঋণ যেমন বাঙালি জাতি কোনোদিন পরিশোধ করতে পারবে না, তেমনি শেখ হাসিনার কথাও বাংলাদেশ কোনোদিন ভুলতে পারবে না। রাঙামাটি জেলা পুলিশের উদ্যোগে আয়োজিত ঐতিহাসিক ৭ মার্চ এর আলোচনা সভায় এই মন্তব্য করেন বক্তরা। ‘বাংলাদেশ স্বল্প উন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার’ শ্লোগান উপজীব্য করে রোববার রাঙামাটি কোতয়ালী থানা মাঠে অভূতপূর্ব এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে রাঙামাটি জেলা পুলিশ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান এমপি, রাঙামাটি জেলার পুলিশ সুপার মীর মোদদাছছের হোসেনের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন, খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি, ধর্ম বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও দিনাজপুর ১ আসনের এমপি মনোরঞ্জন শীল গোপাল, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইচ চেয়ারম্যান নুরুল আলম নিজামী ও রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোঃ মিজানুর রহমান। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ছুফিউল্লাহর প্রাণবন্ত উপস্থাপনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, রাঙামাটি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শহীদুজ্জামান মোহসিন রোমান, রাঙামাটি পৌরসভার নব নির্বাচিত মেয়র আকবর হোসেন চৌধূরী প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে- যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সাময়িকী ‘দ্যা ইকোনমিস্ট এ প্রকাশিত প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়ের নিবন্ধ ‘বাংলাদেশ: এ সরপ্রাইজ ডিজিটাল লিডার ইন এশিয়া’ পাঠ করে শোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। এ সময় পুলিশ সদর দফতর কর্তৃক বানানো একটি ডকুমেন্টারী প্রচার ছাড়াও জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ সম্প্রচার করা হয়।

অনুষ্ঠান শুরুর বহু আগে থেকেই বিশালায়তনের থানা লোকে পরিপূর্ণ হয়ে উঠে। দিবসটি ঘিরে আলোচনা সভার পাশাপাশি আয়োজন করা হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। তবলছড়ি কালী মন্দির থেকে শুরু করে থানা মাঠ পর্যন্ত সাজানো হয় রঙবেরঙের ফেস্টুন দিয়ে। পুরো এলাকার মানুষ আধুনিক সাউন্ড সিস্টেমে প্রচারিত অনুষ্ঠান নিজনিজ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকেই উপভোগের সুযোগ পায়। আলোচনা সভাশেষে অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।