বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ইসলামপুর ভোগান্তিতে ২শতাধিক পরিবার

384

।। নানিয়ারচর প্রতিনিধি ।।

দুর্বল সংযোগ উপকরণ ব্যবহার করে বিদ্যুৎ সরবরাহের ফলে প্রায়শই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে রাঙামাটির নানিয়ারচরের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। ফলে ভোগান্তিতে হাজারো বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী। বিচ্ছিন্ন ও দুর্বল বিদ্যুৎ সরবরাহ দিয়েও মাস শেষে বড় অঙ্কের বিল দিচ্ছে বিদ্যুৎ বিভাগ এমনটাই অভিযোগ স্থানীয়দের।

বুধবার বিকালে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার বুড়িঘাট ইউনিয়নের ইসলামপুর এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে শতাধিক পরিবার। ১৩০টি বৈদ্যুতিক মিটার রয়েছে এই এলাকায়। দুর্বল বৈদ্যুতিক উপকরণ ও মেয়াদোত্তীর্ণ ট্রান্সফরমার দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহের ফলে কদিন পর পর দুর্ভোগে পড়ে এলাকাবাসী।

নুরনবী নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, ৪দিন যাবৎ বিদ্যুৎ নেই এলাকায়। পাহাড়ি এই এলাকায় পানীয় জলের ব্যবস্থা করতে পারছিনা। ইঞ্জিল চালিত মটর ব্যবহার করে ৫/৬ টি পরিবার পানি পেলেও বাকি পরিবারগুলো পানি আনতে যেতে হয় খাড়া পাহাড়ের নিচে। জসিম নামে এক ব্যবসায়ী জানায়, বিদ্যুৎ না থাকায় ব্যবসা বাণিজ্য করা দুরূহ হয়ে পড়ছে। ফ্রিজের কাঁচামাল ও মাছ মাংশ পচেঁ যাচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ফার্মাসিস্ট জানায়, রোগীদের কাছে টিটি ভ্যাক্স ও সাপোজিটরি জাতিয় ওষুধ গুলো বিক্রি করতে পারছিনা। এতে উপজেলা সদরে গিয়ে এসব ওষুধ আনতে অনেক সময় অপচয় হচ্ছে।

এবিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম জানায়, আজ ১০/১২ দিন যাবৎ মোবাইলে চার্জ ও হালকা আলো ছাড়া বিদ্যুতের বাড়তি কোন সেবা পাচ্ছিনা। বেশ কয়েকবার বলেও আজও সুফল মেলেনি বলেও জানান এই জনপ্রতিনিধি।

মহালছড়ি বিদ্যুৎ বিভাগের (ভারপ্রাপ্ত) আবাসিক প্রকৌশলী আজগর আলীকে বেশ কয়েকবার ফোন করে পাওয়া না যাওয়ায় অবশেষে বিদ্যুৎ বিভাগের লাইনম্যান মোঃ মামুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ইদানীং কয়েকটা এলাকায় বজ্রপাতের ফলে বেশ কয়েকটা ট্রান্সফরমার নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। আমরা দ্রুততম সময়ে এই সমস্যা সমাধানে চেষ্টা করছি।