ঢাকা ব্যুরো অফিস, ৯ ডিসেম্বর ২০১৫, দৈনিক রাঙামাটি : নির্বাচন কমিশনের আচরণে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সন্দেহ-সংশয় রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সদ্য কারামুক্ত যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। একই সঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন যেন বিশেষ মহলের অ্যাডভান্স বুকিং প্রতিষ্ঠানে পরিনত না হয়।
বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপ কালে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি ১১ মাস ৫ দিন পরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসেন। এর আগে ৭ ডিসেম্বর কাশিমপুর কারাগার-২ থেকে তিনি মুক্তি পান।
রুহুল কবির রিজভী কার্যালয়ে আসলে বিএনপির নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, বন্দী গণতন্ত্রকে মুক্ত করার জন্য ও আন্দোলনে ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে বিএনপি পৌর নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। পৌর নির্বাচন সুষ্ঠ হলে ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ মেয়র পদে আমরা বিজয়ী হবো। তিনি বলেন, কারাগার ও কারাগারের বাহিরের জনজীবন যেন এক বন্দীশালা। এখানে কথা বলা, মত প্রকাশ ও জনগণের কথা বলার স্বাধীনতাকে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে। মানুষ এখন শুভেচ্ছা জানাতেও ভয় পাচ্ছে। তারা আকার ইঙ্গিতে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে। বর্তমানে দেশে একটা ভয়ংকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সারা দেশে অঘোষিত কারফিউ জারি করা হয়েছে। যেমনটা যুদ্ধের সময়ে ব্যাকআউটের মতো অবস্থার সৃষ্টি করেছে বর্তমান সরকার।
এক প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, জাতীয় নির্বাচন অবশ্যই দিতে হবে। কোন অবৈধ সরকার ক্ষমতায় থেকে ছড়ি ঘুরাতে পারবে না। অবৈধ এই সরকারের পতন হবে এবং জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। কোন ধরনের উস্কানী ও কারন ছাড়াই পৌর নির্বাচনের আগেই সারাদেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতার করে কারাগারে পাঠাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন রিজভী আহমেদ। এসময়ে বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহ দফতর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি, আসাদুল করিম শাহীন উপস্থিত ছিলেন।
পোস্ট করেন- শামীমুল আহসান, ঢাকা ব্যুরোপ্রধান