কাপ্তাই প্রতিনিধি
কাপ্তাইয়ের আলোচিত হাসিনা আক্তার সুমি হত্যায় জড়িত প্রধান আসামি মাহিবুর কামালকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এনিয়ে রবিবার (২০ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৪টায় কাপ্তাই থানায় সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন রাঙামাটি পুলিশ সুপার মীর মোদদা্ছছের হোসেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার জানান, মাত্র আট দিনের মধ্যে পুলিশের বিশেষ তৎপরতায় সুমি হত্যার একমাত্র আসামী নেত্রকোনা জেলার মদনথানাধীন কাইটাইল এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। চট্টগ্রামের র্যাব-৭ বিশেষ অভিযান চালিয়ে আসামী মাহিবুর কামাল (২৫), পিতা-মনির উদ্দিন ভাণ্ডারীকে তার জেঠার বাড়ি নেত্রকোনা থেকে গত শনিবার ভোর ৫টায় গ্রফতার করে। সে কাপ্তাই ইউনিয়নের জাকির হোসেন স’ মিল এলাকার মুরগির টিলা এলাকায় বসবাস করে।
এসপি মীর মোদদাছছের হোসেন ব্রিফিংয়ে আরো জানান, প্রেম এবং বিয়ে প্রত্যাখ্যান নিয়ে উভয়ের মধ্যে তর্কাতর্কির ফলে পাথর দিয়ে আঘাত করে নৃশংসভাবে সুমিকে হত্যা করা হয়। সুমি ও মাহিবুরের মাঝে মাদক আদান প্রদান করতে করতে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে মাহিবুর সুমিকে বিয়ের কথা বলে তার কাছ থেকে টাকা আদায়সহ তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। ইতিমধ্যে মাহিবুরের পারিবারিকভাবে বিয়ে ঠিক হয় রাঙ্গুনীয়ার রানীর হাটে। চলতি মাসের ১৮ মার্চ বিয়ে করার কথা ছিল তার। ওই বিয়ের খবর জানতে পারে সুমি। বিয়ের বিষয় নিয়ে মাহিবুর ও সুমির মাঝে বিএফআইডিসি স্কুল মাঠে কথা কাটাকাটি হয় এবং দু’জনের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে মাহিবুর তার প্রেমিকা সুমিকে পাথর দিয়ে মাথা ও মুখে আঘাত করে হত্যা করে বলে জবানবন্দিতে সে জানায়।
এদিকে, মাহিবুর সুমিকে হত্যা করে বিএফআইডিসি প্রাইমারি স্কুলের পরিত্যক্ত টায়লেটের ভিতর লুকিয়ে রেখে মুখে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয় বলে সে জানায়। সে একাই এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে জবানবন্দী দেয় বলে জানান জেলা পুলিশ সুপার। বিকেল ৫টায় সুমি হত্যার প্রধান আসামীকে নিয়ে তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরির্দশক শাহিনুর রহমান ঘটনাস্থলে এসে হত্যার আলামত জব্দ করে।
উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ কাপ্তাই বিএফআইডিসির প্রাইমারি স্কুলের টয়লেটে হাসিনা আক্তার সুমির লাশ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে সুমির মা আমেনা বেগম বাদী হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৫ জনের নামে কাপ্তাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।