॥ স্টাফ রিপোর্টার ॥
যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে রাঙামাটিতে আষাঢ়ী পূর্ণিমা পালন করছে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা। আষাঢ়ী পূর্ণিমা বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন। তাই এই উপলক্ষে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা দিনটি গুরুত্ব সহকারে পালন করে থাকে।
এই তিথিতেই গৌতম বুদ্ধ মাতৃগর্ভে ধারণ, গৃহত্যাগ ও বুদ্ধত্ব লাভের পর প্রথম তাঁর পঞ্চবর্গিয় শিষ্যকে ধর্মচক্র দেশনা দেন এবং সংযম পালনের ব্রত হতে এই আষাঢ়ী পূর্ণিমা হতে আশ^ীনি পূর্ণিমা তিথি পর্যন্ত তিনমাস বর্ষাবাস শুরু করেছিলেন।
বুধবার (১৩ জুলাই) সকালে আষাঢ়ী পূর্ণিমা উপলক্ষে রাঙ্গামাটির আনন্দ বিহার, মৈত্রী বিহারসহ বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারে নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সকাল থেকে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা পঞ্চশীল গ্রহণ, অষ্টশীল গ্রহন, সমবেত প্রার্থনা, চীবরদান, গুরু ভক্তি, ছোয়াইং প্রদান (ভান্তেদের খাবার দান) মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জলনসহ নানা অনুষ্ঠান। এসময় বুদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশ্যে ধর্মীয় দেশনা প্রদান করেন, আনন্দ বিহারের উপাধ্যক্ষ ধর্মেশ্বর ভান্তে থেরো।
বিকালে বুদ্ধ মুর্তি স্মান, ধর্মদেশনা, হাজার প্রদীপ প্রজ্জলন ও দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় প্রার্থনার মধ্যদিয়ে শেষ হবে আষাঢ়ী পুর্ণিমার আয়োজন। উল্লেখ্য, গৌতম বুদ্ধ মাতৃগর্ভে প্রতিসন্ধি লাভ, রাজ প্রাসাদ, রাজত্ব ও স্ত্রী-পুত্রের মায়া ত্যাগ করে দুঃখ থেকে মুক্তির পথ অন্বেষণে গৃহত্যাগ ও বুদ্ধত্ব লাভের পর পঞ্চবর্গীয় শিষ্যদের উদ্দেশে প্রথম ধর্মের বাণী প্রচার করা।
এ আষাঢ়ী পূর্ণিমার পরে তিন মাস বৌদ্ধ ভিক্ষুরা বর্ষাবাস শুরু করেন। এ সময় ভিক্ষুরা জরুরি কোনো কারণ ছাড়া বিহারের বাইরে রাত্রিযাপন করতে পারেন না। এ তিন মাস বৌদ্ধ ভিক্ষুরা ধর্ম বিনয় অধ্যায়ন ও ধ্যান চর্চা করে থাকেন। তিন মাস বর্ষাবাস শেষ হওয়ার পর প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপনের মধ্যদিয়ে শুরু মাসব্যাপী কঠিন চীবর দানোৎসব।